Advertisement
১৮ মে ২০২৪

মারধরে স্ত্রীর মৃত্যু, ১০ বছরের জেল

মামলাটির ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে অন্যতম দীপঙ্করের বড় মেয়ে, উলুবেড়িয়া কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিন্দিতা। ঘটনার সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১১ বছর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০১:২৬
Share: Save:

অশান্তির জেরে বছর নয়েক আগে স্ত্রীকে মারধর করেছিল সে। স্ত্রী মারা যায়। সেই অপরাধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রূপাঞ্জনা চক্রবর্তী উলুবেড়িয়ারই মহিযালির বাসিন্দা দীপঙ্কর হাজরাকে ওই সাজা শোনান। ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার দীপঙ্করকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মামলাটির ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে অন্যতম দীপঙ্করের বড় মেয়ে, উলুবেড়িয়া কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিন্দিতা। ঘটনার সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১১ বছর। অনিন্দিতা বলেন, ‘‘বাবা যখন মাকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে মারছে, তখন বলেছিলাম, বাবা মাকে মেরো না। মামার বাড়িতে গিয়েছিলাম মামাকে ডাকতে। যখন মামাকে নিয়ে আসি, তখন মা আর নেই।’’ মামলার সরকারি আইনজীবী নিধুরাম নন্দী বলেন, ‘‘বিচার প্রক্রিয়ায় মেয়ের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।’’

পুলিশ জানায়, পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট দীপঙ্কর মহিষালিরই রথতলার বাসিন্দা অপর্ণাকে ১৯৯৮ সালে বাড়ির অমতে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি শুরু হয়। ২০১০ সালের ৭ ফেব্রয়ারি রাতে অপর্ণা দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। দীপঙ্কর স্ত্রীকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। অপর্ণা মারা যান। রাতে দীপঙ্কর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এফআইআরে নিহত অপর্ণার ভাই ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল জানিয়েছিলেন, স্ত্রীকে অকারণে সন্দেহ করত দীপঙ্কর। বিচার-প্রক্রিয়া চলাকালীন দীপঙ্কর জামিনে মুক্ত ছিল। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Physical Assault Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE