জল বাড়ছে দামোদরের।
এ বার অতি বর্ষণ বা ডিভিসি-র ছাড়া জলে আমতা-২ এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লক যাতে প্লাবিত না হয়, সে জন্য আগেই উদ্যোগী হল সেচ দফতর। দামোদরের এক দিকের পুরনো বাঁধ কংক্রিটে বাঁধানোর পরে এ বার ওই দুই ব্লকের স্লুইস গেটগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে,দুই এলাকারই বিস্তীর্ণ এলাকার প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে বলে দাবি সেচ দফতরের।
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্লুইস গেটগুলি সংস্কারের ফলে বন্যার জল যেমন লোকালয়ে ঢুকতে পারবে না, তেমনই গরমের সময় প্রয়োজনীয় জল নদী থেকে খালে ঢুকিয়ে নিয়ে চাষাবাদও করা যাবে।’’
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের আমতা ডিভিশনের অধীনে ১৫০টি স্লুইস গেট রয়েছে। এর মধ্যে আমতার দেওড়া, সারদা, উদয়নারায়ণপুরের হরালি-সহ ৫০টি এলাকার স্লুইস গেট অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক ভাবে সেগুলিই সংস্কার করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকিগুলির কাজ হবে। হরালি এলাকার স্লুইস গেটটি সংস্কার ছাড়াও একটি নতুন গেটও তৈরি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পুরনো স্লুইস গেটগুলি ঠিকমতো কাজ করছিল না। কোনও কোনও গেটের কংক্রিটের দেওয়ালে ফাটল ধরেছিল। গেটগুলি সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের পথে।
চলছে স্লুইস গেট সারাইয়ের কাজ।
এ ছাড়াও ডিভিসি এক লক্ষ কিউসেকের উপরে জল ছাড়লে আমতা-উদয়নারায়ণপুরের কুর্চি, ঘোলা, মনসুকা, বকপোতার মতো কিছু এলাকায় যাতে নদীর জল বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে ঢুকতে না পারে তার জন্য আগে থেকেই ৬ হাজার বালি ও মাটির বস্তা মজুত করে রাখা হয়েছে বলে জানান সেচ দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যে সেচ দফতর দামোদরের পাড়ের অতি ভাঙনপ্রবণ ৮ কিলোমিটার বাঁধ কংক্রিটে বাঁধিয়েছে। ফলে, এ বারে বর্ষায় আগের চেয়ে আমতা-উদয়নারায়ণপুরকে আরও বেশি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে দাবি সেচ দফতরের।
ছবিগুলি তুলেছেন সুব্রত জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy