ঠিকাদারের গ্রাস থেকে অবন ঠাকুরের বাড়ি উদ্ধারের জন্য প্রশংসা পেয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি পুর এলাকায় যখন খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে, তখন একটা হলেও বড় খেলার মাঠ তৈরির কাজও কিছুটা তারিফ পেয়েছিল এলাকার মানুষের। হাল আমলে উত্তরপাড়ার পর কোন্নগর পুর এলাকা স্মার্ট সিটির তকমাও পেয়েছে।
কিন্তু পুরভোটের ঠিক মুখেই প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে ডাঁহা ফেল কোন্নগর পুরসভা। তার ফলেই বেহাল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এই ক্ষোভ ভোটবাক্সে গিয়ে তাঁদের ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় শাসকদলের নেতারাই।
কোন্নগর পুর এলাকায় পুর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিকে লাগাম পরাতে বিচ্ছিন্নভাবে উদ্যোগী হলেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন নেই। যার জেরে এলাকার পুরো নিকাশি ব্যবস্থাকেই বানচাল করে দিচ্ছে প্লাস্টিক। কিছু সচেতন মানুষ চাইলেও প্লাস্টিকের বিকল্প কিছু পাচ্ছেন না ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করার। তাই সরকারি স্তরে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। হয়েছে অনেক বৈঠকও। কিন্তু প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড়ের ব্যাগের কোনও ধারাবাহিক জোগানের বন্দোবস্ত এ পর্যন্ত সরকারি স্তরে কিছুই হয়নি।