একাধিক জায়গায় নদীবাঁধে ধস নেমেছে সম্প্রতি। হাওড়া জেলায় আরও বহু জায়গায় বাঁধ বেহাল আগে থেকেই। কিন্তু সারানো হবে কী ভাবে? জেলা সেচ দফতরের হাতে টাকাই নেই। টাকার অভাবে ত্রাহি রব সেচকর্তাদের। বকেয়া না-মেটায় ঠিকা সংস্থাগুলিও কাজ করতে চাইছে না। ফলে, এই বর্ষার মরসুমে জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আদৌ শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
হাওড়ার আমতা-২ এবং উদয়নারায়ণপুর— এই দুই ব্লক বন্যাপ্রবণ। উদয়নারায়ণপুর থেকে আমতা পর্যন্ত দামোদরের বাঁধের বহু জায়গায় ভাঙন আছে। বিভিন্ন মহল থেকে বার বার বলা সত্ত্বেও এই অংশগুলিতে মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়নি। যদি বন্যা হয় তা হলে কোনও মতে ঠেকা দেওয়ার জন্য বালির বস্তা মজুত করে রেখেছে সেচ দফতর।
জেলা সেচ দফতরের অধীন নিম্ন দামোদর নির্মাণভুক্তি-১ এবং ২— এই দু’টি বিভাগই বন্যা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় কাজ করে। গত এক বছর ধরে অর্থাভাবে ঠিকা সংস্থাগুলির প্রায় ৭০ কোটি টাকা যে মেটানো যায়নি, তা স্বীকার করেছেন দুই বিভাগের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, অর্থাভাবের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।