Advertisement
০২ মে ২০২৪
চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল

পাশেই মর্গ, দুর্গন্ধে ক্ষোভ

মর্গের কয়েক হাত দূরেই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড। দীর্ঘদিন ধরে মর্গের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

আইসোলেশন: কখনও কখনও এই ওয়ার্ডের সামনেও মৃতদেহ এনে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজস্ব চিত্র

আইসোলেশন: কখনও কখনও এই ওয়ার্ডের সামনেও মৃতদেহ এনে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজস্ব চিত্র

তাপস ঘোষ
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:১৬
Share: Save:

মর্গের কয়েক হাত দূরেই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড। দীর্ঘদিন ধরে মর্গের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

হুগলির জেলা সদর হাসপাতাল হওয়ায় এখানে রোগীর চাপ সব সময়েই থাকে। বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যে ওয়ার্ডে ডায়েরিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা হতো, সেখানেই সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডটি গড়া হয়। ডায়েরিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা বিভাগটি হাসপাতালের মূল ভবনে স্থানান্তরিত করানো হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডটি হাসপাতালের মূল ভবন থেকে কিছুটা দূরে হলেও পাশেই মর্গ।

ময়না-তদন্তের জন্য সেখানে প্রায় রোজই একাধিক মৃতদেহ আসে। আবার দাবিদারহীন মৃতদেহও পড়ে থাকে বেশ কয়েকদিন ধরে।

রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও অভিযোগ, শুধু দুর্গন্ধ ছড়ানোই নয়, মর্গের সামনে অনেক সময় মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। ময়না-তদন্তের পর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে মৃতের পরিজনদের লাইনও পড়ে। সে সব পেরিয়েই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পৌঁছতে হয়। যা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। এ নিয়ে আগে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু অবস্থা পাল্টায়নি।

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতালে সুপার উজ্জ্বলেন্দুবিকাশ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। মর্গটি হাসপাতাল থেকে নিরাপদ দূরত্বেই রয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডটি অন্যত্র সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’

আইসোলেশন ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা ২০। তার মধ্যে ১০টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ধনেখালির রিপন টুডু বলেন, ‘‘মর্গের দুর্গন্ধ যে ভাবে ওয়ার্ডেও চলে আসে, তাতে সুস্থ হওয়ার চেয়ে রোগীরা তো আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ওয়ার্ডটি অন্যত্র সরানো হলে সুবিধা হয়।’’

ওই এলাকার বাসিন্দা রবীন ঘোষও একই কথা বলছেন। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে তিনিও আইসোলেশন ওয়ার্ডকে অন্যত্র সরানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Morgue Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE