অধরা: মহারাজ নাগ (সাদা পাঞ্জাবিতে)। ফাইল চিত্র
মাস চারেক আগে এক প্রৌঢ়কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা মহারাজ নাগকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে, শুক্রবার বিকেলে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা এলাকার একটি লজ থেকে মহারাজের দুই শাগরেদ, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শোভন জানা এবং শেখ সহেলকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের বাড়ি ওই এলাকাতেই। তারা তৃণমূল সমর্থক হিসেবে এলাকার পরিচিত।
গত এপ্রিল মাসে তারকেশ্বরের তালপুর এলাকার অশোক ভট্টাচার্য নামে এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় মহারাজ সালিশি সভা ডেকেছিলেন। সেখানে অশোকবাবুকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় বলে অভিযোগ। পুরো টাকা দিতে না পারায় তাঁর উপরে মহারাজরা চাপ দিচ্ছিলেন এবং সেই কারণে অশোকবাবু ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী কুন্তলিকাদেবী। অভিযোগ হয়েছিল মহারাজ-সহ পাঁচ জনের নামে। অভিযুক্তদের মধ্যে এই প্রথম দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ধৃতদের তিনি চেনেন না বলে দাবি করেছেন তারকেশ্বরের পুরপ্রধান তৃণমূলের স্বপন সামন্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওদের চিনি না। ওরা তৃণমূল সমর্থক কিনা জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’’ যে লজ থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়, সেটি মহারাজের এক আত্মীয়ের বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশ এখনও মহারাজকে ধরছে না। মহারাজ ধরা না-পরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুন্তলিকাদেবীও। তিনি বলেন, ‘‘মহারাজই মূল অপরাধী। ওর জন্যই স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন।’’
পুলিশ জানায়, মহারাজ-সহ বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতদের শনিবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন। তোলাবাজির অভিযোগে এক বছর আগে শোভনকে হাজতবাস করতে হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy