অভিযানে পুলিশ। শুক্রবার নাওপালায় রূপনারায়ণের বালি খাদানে তোলা নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় নদীর বুক থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও হাওড়ার বাগনানের নাওপালায় রূপনারায়ণ থেকে অবাধে বালি তোলার খবর পেয়ে সেখানে হানা দিল পুলিশ।
শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নাওপালায় অভিযান চালিয়ে রূপনারায়ণ থেকে বালি তোলা বন্ধ করে দেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক অংশুল গুপ্ত। অভিযোগ, অভিযান চালাতে গিয়ে স্থানীয় কিছু যুবকের হুমকির মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বালি তুলতে হবে খনিজ আইন মেনে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকেই বলা হয়েছে এর অনুমতি দিতে। হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সিদ্ধান্ত নেয় খনিজ আইন মেনে এই চার জেলায় বালি তোলার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই চার জেলায় নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া বন্ধ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রূপনারায়ণ নদ থেকে প্রকাশ্যেই বালি তোলা হচ্ছিল নাওপালায়।
এদিন অভিযানে মহকুমাশাসকের সঙ্গে ছিলেন বাগনান ২-এর বিডিও প্রণবকুমার মণ্ডল, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পে-লোডার, একটি বালি বোঝাই লরি এবং একটি ডাম্পার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে যারা বালি তুলছিল তাদের কাউকেই ধরা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে আগেই পালায় তারা। এ দিকে অভিযান শেষ হওয়ার সময়ে কিছু যুবক মহকুমাশাসকের সামনে এসে তাঁকে হুমকি দিতে থাকে। তাদের বক্তব্য, তারা এক সময় এখানে বালি তুলত। কিন্তু এখন খাদান বন্ধ। তবুও তাদের পড়ে থাকা একটি পে লোডার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মহকুমাশাসক অবশ্য তাদের কথাকে আমল দেননি। তিনি বলেন, ‘‘খনিজ আইন অনুযায়ী ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে বলা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত জিনিসগুলির ভিত্তিতে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগে মামলা দায়ের করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy