—নিজস্ব চিত্র।
সংখ্যাটা ৫০। এতগুলি রাস্তা সংস্কারের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রকল্প। তবে ওই পর্যন্তই। রাস্তার কাজে আর হাত পড়েনি। কারণ টাকা নেই। সমস্যাটি হাওড়া জেলার।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে টাকা দেয় কেন্দ্র। ২০১৪ সালে শেষ হওয়া ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন পর্যন্ত ওই টাকা পেয়ে এসেছে তারা। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে চালু হওয়া চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন থেকে ওই টাকা জেলা পরিষদ আর পাচ্ছে না। জেলা পরিষদের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতিও ওই টাকার একটা অংশ পেত। কিন্তু টাকা না আসায় কোনও কাজই করা যাচ্ছে না।
না পাওয়ার কারণ, চতুর্দশ অর্থ কমিশন ঠিক করেছে পঞ্চায়েত সমিতিকেও আর টাকা দেওয়া হবে না। সরাসরি সব টাকা চলে যাবে পঞ্চায়েতের হাতে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে জেলা পরিষদ। বিভিন্ন অর্থ কমিশনের টাকায় তারা রাস্তা সংস্কার করত। জেলা পরিষদের অধীনে কয়েকশো রাস্তা আছে। কিন্তু নতুন নিয়মের পর ২০১৫-’১৬ অর্থ বর্ষ থেকে আর রাস্তা সংস্কার করতে পারছে না তারা। এই পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের নিজস্ব আয় থেকে রাস্তা সংস্কার করা যায় কি না সে বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের যে নিয়ম ছিল তাতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে যে টাকা দেওয়া হতো তার ২০ শতাংশ পেত জেলা পরিষদ। এক একটি অর্থ কমিশন পাঁচ বছর ধরে টাকা দেয়। সে ক্ষেত্রে চতুর্দশ অর্থ কমিশন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাওড়া জেলা পরিষদ। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, ফের যাতে টাকা দেওয়া হয় সেই আর্জি জানিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে জেলা পরিষদ। সহকারী জেলা সভাপধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছি, কিছু টাকা যেন আমাদের দেওয়া হয়। না হলে রাস্তা মেরামতি করা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy