প্রতীকী ছবি।
পুজোর সময়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আর চিকিৎসক খুঁজতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে না। পুজোর ছুটিতেও চিকিৎসা পরিষেবা দেবে হাওড়া পুরসভা। এ জন্য পুরসভার ৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্হিবিভাগ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। বহির্বিভাগে থাকবেন চিকিৎসক, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান-সহ এক জন করে অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্ট।
পুজোয় টানা ৯ দিন ছুটি থাকছে পুরসভায়। কিন্তু এই বর্হিবিভাগগুলি ৯ দিনই খোলা রেখে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। এমনিতেই পুজোর সময়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সহজে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। অধিকাংশ চিকিৎসক রোগী দেখেন না বা বাইরে চলে যায়। একই চিত্র দেখা যায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে। এর উপর চলতি বর্ষার মরসুমে যে ভাবে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন পুর কর্তারা। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, শহরে জ্বরের প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালেই গত এক মাসে প্রায় সাড়ে তিনশো রোগী ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সব রোগীদের মধ্যে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা খুবই কম।
হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এবারে অগস্ট মাসেও ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুবই কম মিলেছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মাত্র ৫ শতাংশ। গত বছর এই সময়ে তা অনেকটা বেশি ছিল। এটাই স্বস্তির।
তবে এই পরিসংখ্যানের জেরে যে তাঁরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন না, তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সতর্ক রয়েছি। পুজোর দিনগুলিতে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অসুবিধা না হয় এবং রোগ নির্ণয়ে কোনও দায়সারা ব্যাপার না থাকে, তা আমরা দেখছি। এ জন্য পুরসভার ৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা রাখা হচ্ছে।’’ ভাস্করবাবু জানান, গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে ৩টি কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রেই রোগীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এবার যে ৬টি কেন্দ্র খোলা থাকবে, সেগুলি হল বেতড়, জেলিয়াপাড়া, বালির কেদারনাথ ও রাজেন শেঠ লেন এবং নরসিংহ দত্ত রোডের কাছে বিজয়ানন্দ পার্ক। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রগুলি খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।
কিন্তু কোথায় মিলবে চিকিৎসক?
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভা ছাড়া বাকি সমস্ত পুরসভাকে চিকিৎসা সহযোগিতা নিতে হয় ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন থেকে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই সাহায্য সরাসরি মেলে না। চিকিৎসক থেকে ওষুধ, সবই নিতে হয় ওই সংস্থা থেকে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজস্ব ৬ জন চিকিৎসক ছাড়াও আরও ১৬ জন চিকিৎসক এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পুজোর সময় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বসবেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে খোলা থাকবে পুরসভার ডেঙ্গি শনাক্তকরণের জন্য প্যাথলজিক্যাল ল্যাব। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের যে সব অফিসার ও কর্মী পুজোর ছুটিতে ডিউটি করবেন পরে তাঁরা ওই ক’দিনের জন্য সবেতন ছুটি পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy