Advertisement
০৫ মে ২০২৪
health

বহির্বিভাগ চালু হচ্ছে শ্রমজীবীতে

টান পড়েছে কর্মীদের বেতনে। বকেয়া কবে মিটবে, সে ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রকাশ পাল
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৮
Share: Save:

সাড়ে ন’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য এই পর্বে অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা হয়নি শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে। এখন করোনার থাবা থেকে অনেকটাই মুক্ত হুগলি জেলা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরতে চাইছে শ্রীরামপুরের বেলু-মিল্কি গ্রামে গণ-উদ্যোগে তৈরি এই হাসপাতাল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ, সোমবার থেকে এখানে বহির্বিভাগ চালু হচ্ছে। সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত নির্দিষ্ট দিনে সাধারণ রোগ, বক্ষ, স্ত্রী-রোগ, অস্থি এবং শল্য বহির্বিভাগ চালু হচ্ছে।

আগের মতোই ১১ টাকায় সেখানে রোগী দেখা হবে। হাসপাতালের একাংশে কোভিডের চিকিৎসা হচ্ছে। বহির্বিভাগ হবে অন্য অংশে। দু’টি অংশের মধ্যে যোগ থাকছে না। চোখ, নাক-কান-গলা, কিডনি, মেরুদণ্ড প্রভৃতি আরও যে সব বহির্বিভাগ চলত, সেগুলি ধাপে ধাপে চালু করা হবে। ঠিক হয়েছে, যতদিন অন্তর্বিভাগ চালু করা যাবে না, ততদিন এখানে বহির্বিভাগে আসা রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে তাঁকে বেলুড় শ্রমজীবীতে পাঠানো হবে।

হাসপাতালের সহ-সম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, ‘‘বহু গরিব এবং সাধারণ মানুষ নন-কোভিড রোগের চিকিৎসার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এখন কোভিড রোগী নেই বললেই চলে। অথচ, তাঁদেরও পরিষেবা দিতে পারছি না। বেলুড়ে আমাদের অপর হাসপাতালে চাপ বেড়েই চলেছে। তাই শ্রীরামপুর শ্রমজীবীতে বহির্বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

গত ৪ এপ্রিল করোনা চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি নিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। প্রায় দু’হাজার করোনা রোগীর চিকিৎসা এখানে হয়েছে। গত এক মাস ধরে হুগলিতে করোনা রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। কিছু দিন আগে ৩০টি সাধারণ এবং ১০টি সিসিইউ শয্যা ছেড়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোভিডের সঙ্গে একই তলে ওই শয্যা থাকায় সেখানে অন্য রোগী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। কোভিড রোগীও আসছে নামমাত্র। ফলে, হাসপাতালের প্রচুর শয্যা স্রেফ পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

এই অবস্থায় পুরো হাসপাতালটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরে আর্জি জানান শ্রমজীবী কর্তৃপক্ষ। তাঁদের যুক্তি, কোভিডের কঠিন সময়ে সমাজের কথা ভেবে তাঁরা এই রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল এক কথায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন পরিস্থিতি অনেক সহজ। অন্য কোভিড হাসপাতালে দিব্যি এই পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। রবিবার রাত পর্যন্ত এখানে মাত্র ১১ জন কোভিড রোগী রয়েছেন।

হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যাই খালি পড়ে রয়েছে।

কোভিড চিকিৎসা বাবদ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই হাসপাতা‌লের বকেয়া ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। টান পড়েছে কর্মীদের বেতনে। বকেয়া কবে মিটবে, সে ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি। কোভিডের মতো রোগের চিকিৎসা করে কেন একটি হাসপাতালের এত টাকা বকেয়া থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

health Serampore Sramajibi Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE