Advertisement
E-Paper

রাস্তা না হওয়ায় ভুগছেন গ্রামবাসী

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় একটি পাকা রাস্তা তৈরি নিয়ে ঠিকা সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রাস্তার কাজ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। ঘটনাটি হাওড়ার জগৎব‌ল্লভপুরের নরেন্দ্রপুর গ্রামের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৯

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় একটি পাকা রাস্তা তৈরি নিয়ে ঠিকা সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রাস্তার কাজ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। ঘটনাটি হাওড়ার জগৎব‌ল্লভপুরের নরেন্দ্রপুর গ্রামের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে কয়েকটি পর্যায়ে। একটি অংশে এখনও কাজ শুরু না হলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অংশের ইট তুলে ফেলে পাড়ার ভিতরে ছোট রাস্তায় বিছিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে গ্রামবাসীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, কয়েক মাস পরেই বর্ষা। তার আগে রাস্তা পাকা না হলে দুর্ভোগ বাড়বে। এর জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের সাফাই, ঠিকা সংস্থার কাছ থেকে অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি পেয়ে তাঁরা ইট তুলে ফেলেন।

নরেন্দ্রপুর গ্রামে চক্রবর্তীপাড়া থেকে মিদ্দা পাড়া পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বছর খানেক আগে। ঠিকা সংস্থার দাবি, কাজটি হচ্ছে তিনটি পর্যায়ে। প্রথম দুটি পর্যায়ের কাজ এখন চলছে। সেই পর্যায়গুলি শেষ হলে শেষ পর্যায়ের কাজে হাত দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ের কাজ যেখানে হওয়ার কথা সেটি হল বর্গক্ষত্রিয় পাড়া এবং থান্ডার পাড়া। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। কিন্তু ছয় মাস আগেই এই অংশের সব পুরনো ইট তুলে তা পাড়ার অন্য রাস্তায় বিছিয়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন। ফলে এখন মাটির রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে লোকজন, মোটরবাইক, সাইকেলকে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তার কাজ শুরুই যখন হয়নি, তখন হুট করে ইট তুলে ফেলা হল কেন?

স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রশান্ত বাগ বলেন, ‘‘এই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে ঠিকা সংস্থা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা রাস্তার ধারের পুকুরের পাড়ও শালের খুঁটি দিয়ে বাঁধিয়ে দেয়। তারপরেই আমরা ইট তুলে পাড়ার রাস্তায় বিছিয়ে দিই। এখন ঠিকা সংস্থা কাজ শুরু না করায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’

ঠিকা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই রাস্তায় অন্য দুই অংশের কাজ শেষ হওয়ার পরেই ওই অংশের কাজে হাত দেওয়া হবে। ঠিকা সংস্থার এক কর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরির নিয়ম আছে। এক সঙ্গে সব কাজ করা যায় না। এলাকার বাসিন্দারা দাবি করছেন তাঁদের কাজ আগে করতে হবে। সেটা সম্ভব নয়।

Road Village
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy