ছট পুজো উপলক্ষে গঙ্গায় যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামলাতে ‘মোবাইল লঞ্চ’-এর ব্যবস্থা করল হাওড়া সিটি পুলিশ ও পুরসভা। হাওড়ার এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে ছুটে বেড়াবে এই লঞ্চ। নজরদারির পাশাপাশি কোনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভিড় এড়িয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যেতেও এই লঞ্চ ব্যবহার করা হবে।
ছট উপলক্ষে হাওড়ার দক্ষিণে বটানিক্যাল গার্ডেন ঘাট থেকে উত্তরে বালিখাল পর্যন্ত ৪৮টি ঘাটে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ ও পুর প্রশাসন। শুক্রবার হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ, মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী, ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) সুমিত কুমার-সহ পুলিশ ও পুরসভার পদস্থ কর্তারা লঞ্চে প্রতিটি ঘাট পরিদর্শন করেন।
পরে মেয়র জানান, দক্ষিণ থেকে উত্তরে মোট ঘাট রয়েছে ৬৪টি। তার মধ্যে ৪৮টি ব্যবহারযোগ্য। এ দিন সেগুলির অবস্থাই খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হচ্ছে। বৃষ্টি থেকে পুণ্যার্থীদের বাঁচাতে ত্রিপল দিয়ে ছাউনি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বালির বস্তা, বাঁশ দিয়ে ঘাটের বিপজ্জনক অংশগুলিতে ব্যারিকেড করা হয়েছে। রথীনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই ছট পুজোয় যাতে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা থাকছে।’’
পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিটি ঘাটে থাকবেন পুরসভা ও পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। সঙ্গে থাকবে ডুবুরিও। প্রতিটি ঘাটে থাকবে ঘোষণা কেন্দ্র। জোয়ার-ভাটা, বানের খবরের পাশাপাশি নিরুদ্দেশ সম্পর্কেও ঘোষণা করা হবে ওই কেন্দ্রগুলি থেকে। প্রতি ঘাটে খোলা হবে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রয়োজনে এক ঘাট থেকে আর এক ঘাটে চিকিৎসক নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল লঞ্চ পরিষেবা ব্যবহার করা হবে। পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে প্রতি ঘাটে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ছাড়া থাকবে সিটি পুলিশের ১২টি লঞ্চ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি বড় ঘাটে এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী থাকবে। মাঝারি ও ছোট ঘাটগুলিতে এক জন সাব ইনস্পেক্টর-সহ পুলিশকর্মীরা থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy