Advertisement
E-Paper

আলুতে রং না মেশানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা

আলুতে আর বিষাক্ত রং দেওয়া হবে না। মেলানো হবে না ইটের গুঁড়োও। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে শুক্রবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুগলি জেলার আলু ব্যবসায়ীরা। এ দিন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির হুগলি শাখার তরফে তারকেশ্বরে এর বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৬ ০৮:০৬

আলুতে আর বিষাক্ত রং দেওয়া হবে না। মেলানো হবে না ইটের গুঁড়োও। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে শুক্রবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুগলি জেলার আলু ব্যবসায়ীরা। এ দিন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির হুগলি শাখার তরফে তারকেশ্বরে এর বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

সংগঠনের জেলা সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ২০ জুন থেকে আলুতে রঙ মাখানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলার সর্বত্র নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা যাতে যথাযথ ভাবে কার্যকর হয়, আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। কেউ আলুতে রঙ মাখালে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’’

আলু বা সব্জিতে রঙ মাখানো বন্ধের নির্দেশিকা নতুন নয়। বাম আমলে এই নিয়ে নির্দেশ জারি হলেও কাজের কাজ হয়নি। বছর খানেক আগেও আলু-সহ অন্য সব্জিতে রঙ মাখানোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে ভাবে নজরদারি করা হয়নি। হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি জেলায় আলুর আড়তে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি যে বদলায়নি, বলাই বাহুল্য।

দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মু‌খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত গত ১০ জুন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ী এবং হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য সরকারের মনোভাব জানিয়ে দেন। তপনবাবু বলেন, ‘‘আলু বা অন্য সব্জিতে কৃত্রিম রং মেশালে মানুষের শরীরে তার খারাপ প্রভাব পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী এটা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।’’ কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, হিমঘর থেকে বের করার পরেই আলুকে দেখনদারি করতে ইটের গুঁড়ো অথবা অ্যালামাটি মাখানো হয়। তাতে আলু তরতাজা দেখায়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ইটের গুঁড়োয় থাকা রেড অক্সাইড ক্ষতিকর।

হুগলি রাজ্যের অন্যতম প্রধান আলু উৎপাদক জেলা। সিঙ্গুর, নালিকুল, হরিপাল, তারকেশ্বর, পুড়শুড়া, ধনেখালির মতো জায়গায় শতাধিক হিমঘর আছে। হিমঘর থেকে বের করার পরে আলুর রঙ অনেকটা ফিকে হয়ে আসে। রঙ ফেরাতে বাছানদারদের মাধ্যমে ইটের গুঁড়ো, অ্যালামাটি মাখিয়ে আলুর চেহারা ফেরানো হয়। অনেক জায়গায় আলুর আড়তেও এই কাজ হয়। আলুর কোনও অংশ পচে গেলে ইটের গুঁড়ো বা অ্যালামাটিতে তাও ঢেকে যায়।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, মাঝখানে আলুতে রং মাখানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকারি নজরদারি না থাকায় কেউ কেউ ফের তা শুরু করেছে। এই সিদ্ধান্তের পর এ বার যাতে তা আর না হয়, সে চেষ্টা করা হবে।

Traders potato
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy