Advertisement
০৩ মে ২০২৪
অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে

আরামবাগ, মগরায় বিজেপির সভায় হামলা

বিজেপি-র সভার আগে সভাস্থলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে। মঙ্গলবার হুগলির আরামবাগ এবং মগরা দুই জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে।

বিজেপি-র এই সভামঞ্চেই হামলা হয়। ছবি: মোহন দাস।

বিজেপি-র এই সভামঞ্চেই হামলা হয়। ছবি: মোহন দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৭
Share: Save:

বিজেপি-র সভার আগে সভাস্থলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে। মঙ্গলবার হুগলির আরামবাগ এবং মগরা দুই জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে।

এ দিন বিকালে আরামবাগের হাসপাতাল মোড়ে বিজেপি যুব মোর্চার পূর্ব ঘোষিত সভা শুরুর আগেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর, সভামঞ্চ ভাঙচুর এবং ফেস্টুন-ফ্লেক্স ছিঁড়ে সভা পন্ড করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যুব নেতা আব্দুল সেলিমের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আব্দুল সেলিমের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা ওই সভাস্থলের কাছে থাকা তৃণমূলের পতাকা পুড়িয়ে দেয় এবং তাদের দলের ছেলেদের মারধর করে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মগরায় ঘটনা ঘটে সন্ধ্যায়। তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে এ দিন মগরা রেল স্টেশন চত্বরে সভার আয়োজন করেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। জেলা বিজেপি নেতা স্বপন পালের অভিযোগ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মগরার সভায় হামলা চালায় তৃণমূলের কিছু লোক। মারধর করে সভা ভেস্তে দেওয়া হয়। সংগঠনের রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য সুরিন্দর সিংহ-সহ তিন জন আহত হন। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কথা জানা নেই।’’

পুলিশের দাবি, বিজেপি প্ল্যাটফর্মে সভা করার অনুমতি নিয়েছিল রেল পুলিশের কাছে। কিন্তু সভা হচ্ছিল স্টেশনের বাইরে। বেশ কয়েকটি মাইকও লাগানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মগরা থানায় অভিযোগ জানান। এর পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্টেশনের বাইরে সভা করতে নিষেধ করে। তখন আন্দোলনকারীরা নিজেরাই ফিরে যান।

আরামবাগের হাসপাতাল মোড়ে বিকাল ৩টা নাগাদ তৃণমূলের সন্ত্রাস ও দুর্নীতি, পুলিশের অপশাসন ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিজেপির সভার অনুমতি ছিল। সেই মত দুপুর ২ টা থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভিড় হতে থাকে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বেলা পৌনে ৩টেনাগাদ তৃণমূল নেতা আব্দুল সেলিম জনা ৪০ কর্মী-সমর্থক নিয়ে সভাস্থলে ঢুকে হামলা করে। ‘দিদির বিরুদ্ধে একটিও কথা বলা যাবে না’ দাবি করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর শুরু করে। মঞ্চ ভাঙচুর করে মাইক্রোফোন ছুড়ে ফেলে দেয়। আচমকা হামলায় বিজেপির লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। যদিও সেলিমের পাল্টা দাবি, ওদের সভা নিয়ে তাঁদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু সভা করবে বলে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ছিল বিজেপি-র লোকেরা। প্রতিবাদ করলে দলের কয়েকজনকে মারধর করে। হামলা রুখতে পুলিশ ডাকা হয়।

বিজেপির আরামবাগ জেলা সম্পাদক অসিত কুণ্ডুর অভিযোগ, সামনের পুরসভার নির্বাচন এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে অবধারিত হার বুঝে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিভিন্ন সভায় দলীয় কর্মীদের উপর হামলা করছে। এদিনও আরামবাগ শহরের মানুষ তৃণমূলের স্বরূপ দেখলেন। দেখলেন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

agitation bjp meeting arambagh southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE