প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর থেকে তিনটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ উঠল খানাকুলের শাবলসিংহপুরের কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ওই গাছ কাটা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধা এবং শাবলসিংহপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অমিয় কোলের হস্তক্ষেপে কাটা গাছ কেউ সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ লালার দাবি, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার প্রণতি মিস্ত্রি গাছগুলি তাঁদের কাছে বিক্রি করেছেন।” যদিও প্রণতিদেবী গাছ বিক্রির কথা মানেননি। সোমবার তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও আসেননি। খানকুল-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত বাগ বলেন, “ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে শাবলসিংহপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে প্রায় দেড়শোটি ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুড়ি, মেহগনি ইত্যাদি লাগানো হয়। সোমবার সকালে শেখ লালাবাবুর নেতৃত্বে গাছগুলি কাটা চলছিল বলে অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁরা বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে জানান। এ দিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগ, “টেন্ডার ছাড়াই কী করে গাছ কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে শেখ লালা খুব চেঁচামেচি করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মেহবুব আলম এবং আর এক নেতা রহমত সুভানি ওরফে কাজলের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে ও প্রণতিদেবী তা বিক্রি করেছে বলে তিনি জানান।” ওই দুই তৃণমূল নেতা তাঁদের নামে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, গাছ কাটার সঙ্গে তাঁদের যোগ নেই। তাঁরাই কাটা গাছ আটক করেন। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রধান অমিয়বাবু জানান, ঘটনার দিন প্রণতিদেবী না থাকায় বিষয়টির ফয়সালা হয়নি। আজ, বুধবার সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy