Advertisement
E-Paper

টোটোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নামল অটো

অটো বনাম টোটো দ্বৈরথ চলছেই। হুগলিতে এ নিয়ে কখনও মারপিট, কখনও হুমকি লেগেই রয়েছে। প্রায়ই থানা-পুলিশ হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন স্রেফ জেগে ঘুমোচ্ছে বলে দু’-পক্ষেরই অভিযোগ। প্রশাসনের ঘুম ভাঙাতে এ বার শ্রীরামপুরে অটোরিকশা নিয়ে মিছিল বের হল। তাতে সামিল হল বহু রিক্শাও। ‘বেআইনি’ টোটো গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হল প্রশাসনের দরবারে। নেতৃত্ব দিলেন তৃণমূল নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩৮
অটোর প্রতিবাদ মিছিল।--নিজস্ব চিত্র।

অটোর প্রতিবাদ মিছিল।--নিজস্ব চিত্র।

অটো বনাম টোটো দ্বৈরথ চলছেই। হুগলিতে এ নিয়ে কখনও মারপিট, কখনও হুমকি লেগেই রয়েছে। প্রায়ই থানা-পুলিশ হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন স্রেফ জেগে ঘুমোচ্ছে বলে দু’-পক্ষেরই অভিযোগ। প্রশাসনের ঘুম ভাঙাতে এ বার শ্রীরামপুরে অটোরিকশা নিয়ে মিছিল বের হল। তাতে সামিল হল বহু রিক্শাও। ‘বেআইনি’ টোটো গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হল প্রশাসনের দরবারে। নেতৃত্ব দিলেন তৃণমূল নেতারা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুর স্টেশন থেকে বাগখাল, রিষড়া, বাঙ্গিহাটি এবং ধোবি ঘাট-কোন্নগর রুটের শতাধিক অটোরিকশা মিছিলে যোগ দেয়। নেতাজি সুভাষ অ্যাভেনিউ ধরে জিটি রোড হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল আসে মহকুমাশাসকের দফতরে। মহকুমাশাসক মৃণালকান্তি হালদারের হাতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। মিছিলে ছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল, তৃণমূলের নেতা উত্তম রায়, ওই দলের নেতা কাবুল মুখোপাধ্যায় এবং পাপ্পু সিংহ। মিছিলের জেরে রাস্তায় অটো না মেলায় পথে বেরনো মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েন।

মহকুমাশাসক অবশ্য বলেন, “এটা তো শুধু একটা মহকুমার বিষয় নয়। বিষয়টি জেলাশাসকের কাছে জানানো হয়েছে। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবেন, সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।”

ব্যাটারি চালিত টোটো গাড়ি পরিবেশ বান্ধব। কম গতির এই গাড়ি বেশিদিন বাজারে আসেনি। আপাতত এই গাড়ি রাস্তায় নামাতে পারমিটের কোনও বালাই নেই। রোড ট্যাক্স বা অন্য কোনও রকম কর দিতে হচ্ছে না। অভিযোগ, পরিবহণ সংক্রান্ত কোনও নিয়ম মানতে না হওয়ায় যত্রতত্র যাত্রী বহন করছে তারা। গত কয়েক মাসে হুগলির বিভিন্ন জায়গা টোটো গাড়িতে ছেয়ে গিয়েছে।

অটো চালকদের দাবি, অটো পিছু সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। নির্দিষ্ট রুটেই তাঁদের গাড়ি চালাতে হয়। কিন্তু টোটো গাড়ি দাপিয়ে বেড়ানোয় অটোচালকদের পেটে টান পড়ছে। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। উত্তমবাবু বলেন, “টোটোর কোনও নথি প্রশাসনের কাছে নেই। ফলে এই গাড়ির কোনও বৈধতাই তো নেই। গাড়ির নম্বর নেই। তাই, এই গাড়িতে করে কোনও দুষ্কর্ম হলে পুলিশ ধরবে কি করে?

যাত্রীদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, অটো চালকদের দৌরাত্ম্যে তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। টোটো গাড়ি রাস্তায় নামায় তা থেকে মুক্তি মিলেছে। শ্রীরামপুরে সন্ধ্যার পর থেকে অটো সংখ্যায় অনেক কমে আসে। অনেকে নিজেদের মর্জিমতো চলেন। এই অবস্থায় টোটো গাড়ি যাত্রীদের সমস্যা কমাবে। অটো চালকদের একাংশের বক্তব্য, বহু জায়গায় এখনও কোনও গাড়ি চলে না। দরকার হলে সেই সব জায়গায় টোটো চালানোর অনুমতি দিক প্রশাসন।

south bengal protest serampore toto auto
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy