গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজের সময় খোঁড়াখুড়িতে বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েত। ফলে কাজের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি হচ্ছে বলে বক্তব্য পঞ্চায়েতের। দিন পনেরো এমন অবস্থা চললেও সমস্যা মেটাতে বিএসএন এল কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিডিও থেকে জেলাশাসক, সকলের কাছে লিখিত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের আকলিমা বেগম। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এই কাজ করছিল। আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “বিষয়টা বিএসএনএল দফতরকে জানানো হচ্ছে।”
আরান্ডি-১ পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পঞ্চায়েত থেকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দেওয়া বন্ধ হয়েছে। বিশেষ করে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ইএফএমএস (ইলেকট্রনিক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায়, বকেয়া ৮০ লক্ষ টাকা পাওয়ার পরও শ্রমিকেরা হাতে মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। এ ছাড়াও বন্ধ হয়েছে স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ)প্রকল্পের অননাইল এন্ট্রি থেকে শুরু করে বিধবা এবং বার্ধক্য-সহ যাবতীয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সম্পর্কে তথ্য আদানপ্রদান।
উপপ্রধান শ্রীকান্ত ঘোষের অভিযোগ, “কোদাল, গাঁইতির বদলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর অন্যায়ভাবে জেসিপি দিয়ে মাটি কাটায় তার ছিঁড়ে গিয়ে এই বিপর্যয়। অন্যদিকে আবার বিএসএনএল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এই বেআইনি খননের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মেরামত করছে না। সব মিলিয়ে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে পঞ্চায়েত।এ প্রসঙ্গে মহকুমা আরামবাগ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আরান্ডি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ব্রডব্যান্ড তার ছিঁড়ে গিয়েছে বলে শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
আরান্ডি অঞ্চলে বিএসএনএল পরিষেবার দায়িত্ব তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিভাগের। বিষয়টি নিয়ে চাঁপাডাঙা বিএসএলএল-এর এসডিই রমেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, “আমাদের দফতর থেকে বলা হয়েছিল যেখানে কেবল রয়েছে তার থেকে দু’হাত ছেড়ে খনন করতে। কিন্তু তা শোনা হয়নি। তা ছাড়া জেসিপি দিয়ে কাজ করার কথা ছিল না। সমস্ত বিষয়টা উধ্বর্র্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” লাইন মেরামত প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে লাইন মেরামতের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থা অন্যত্র কাজ করছে। এখনই বললে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করা যায় না। কাজ হলে তা সরকারি প্রক্রিয়া মোতাবেক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy