গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর ব্যাট না থাকলে লড়াইয়েই থাকত না ভারত। সেই গৌতম গম্ভীরকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচকের পা না ছোঁয়ার জন্য। এমন অভিযোগ করেছেন গম্ভীর নিজেই।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর গম্ভীর। তিনি সমাজমাধ্যমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে গম্ভীর বলেন, “আমার যখন ১২-১৩ বছর বয়স, তখন অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পাইনি। নির্বাচকের পা ছুঁইনি বলে আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। সেই সময় থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, জীবনে কখনও কারও পা ছোঁব না এবং কাউকে নিজের পা ছুঁতেও দেব না।”
গম্ভীরের বাবা এক জন ব্যবসায়ী। পরিবারে কখনও অর্থাভাব ছিল না। সেই কারণে অনেকেই মনে করতেন যে, গম্ভীরের ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন নেই। গম্ভীর বলেন, “ক্রিকেট কেরিয়ারে যখনই ব্যর্থ হয়েছি, তখনই শুনতে হয়েছে যে আমার ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন নেই। সে অনূর্ধ্ব-১৬ বা ১৯ হোক অথবা রঞ্জি। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুতেও ব্যর্থ হলে বলা হত যে, আমি তো বড়লোকের ছেলে, আমার ক্রিকেট খেলার কী প্রয়োজন। আমি তো বাবার ব্যবসা সামলাতে পারি।”
কেরিয়ারের শুরুতে সুযোগ না পাওয়া গম্ভীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম সফল ওপেনার। তিনি ৫৮টি টেস্ট, ১৪৭টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৩৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গম্ভীর সব মিলিয়ে ১০,৩২৪ রান করেছিলেন। ২০টি শতরান করেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy