বৃহস্পতিবার দিল্লি রোড অবরোধ বাসিন্দাদের। ছবি: দীপঙ্কর দে।
রাস্তা সম্প্রসারিত হলে পারাপার হতে সমস্যা হবে এবং দুর্ঘটনা ঘটবে, এই যুক্তিতে আন্ডারপাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার হুগলির পার ডানকুনিতে দিল্লি রোড অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘণ্টা তিনেক ধরে অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন যানচালক ও পথচারীরা। পরে পুলিশের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পরে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মাস কয়েক আগে হুগলিতে দিল্লি রোড চার লেনের করার কাজ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পার ডানকুনিতে দিল্লি রোডের চার মাথার মোড়ের আশপাশের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, দিল্লি রোডে চার লেনের কাজ শেষ হয়ে গেলে যানবাহনের গতি বাড়বে। এর ফলে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড সমস্যা হবে। রয়েছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিল্লি রোডের ওই মোড়টি সদাব্যস্ত। ওই রাস্তা পেরিয়ে বহু মানুষ হাওড়া মেন শাখার কোন্নগর স্টেশন এবং কর্ড শাখার ডানকুনি বা গোবরা স্টেশনে যাতায়াত করেন। এলাকায় অনেক কল-কারখানাও রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্কুলও রয়েছে। ফলে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কারখানার শ্রমিক সকলকেই ওই মোড় পেড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ওই মোড়ে আন্ডারপাসের দাবি তোলেন এলাকাবাসী। তারই দাবিতে এ দিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ কয়েকশো মানুষ দিল্লি রোডে বসে পড়েন। শুরু হয় অবরোধ। রীতিমত মাইক লাগিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আন্ডারপাস না হলে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। ব্যস্ত সময়ে আচমকা অবরোধের জেরে রাস্তার দু’দিকে সার বেঁধে যানবাহন দাঁড়িয়ে যায়। যানজটে আটকে গিয়ে বহু মানুষ নাকাল হন। খবর পেয়ে ডানকুনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ অফিসাররা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বাস দেন, জনতার দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হবে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের তরফে সেই আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর দাড়ি বলেন, “সম্প্রসারিত হলে রাস্তার আয়তন দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাতে গাড়ির গতির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যার পরিণতিতে বাড়বে দুর্ঘটনা। আমরা তা হতে দিতে চাই না। প্রশাসন সমস্যাটা বুঝে আন্ডারপাস তৈরি করে দিক।” তাঁর বক্তব্য, “সম্প্রসারণের কাজে হাত দেওয়ার আগেই এ ব্যাপারে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল।” স্থানীয় সিপিএম নেত্রী অনিতা মণ্ডলের দাবি, “আন্ডারপাসের দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দিয়েছি আমরা। কোনও জায়গা থেকেই সদুত্তর মেলেনি। বাধ্য হয়েই তাই আমাদের পথে নামতে হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy