Advertisement
E-Paper

ভোটার তালিকায় আধার নম্বর সংযোগের কাজ শুরু হুগলিতে

ভোটার তালিকায় এক ব্যক্তির একাধিক নাম থাকার মতো ত্রুটি রুখতে এ বার তাতে ভোটারের আধার নম্বরও যুক্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো সেই কাজ শুরু হল হুগলিতেও। কমিশনের বক্তব্য, নতুন ব্যবস্থায় দু’টি পরিচয়পত্র মিলিয়ে দেখে ভোটারের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৩

ভোটার তালিকায় এক ব্যক্তির একাধিক নাম থাকার মতো ত্রুটি রুখতে এ বার তাতে ভোটারের আধার নম্বরও যুক্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো সেই কাজ শুরু হল হুগলিতেও। কমিশনের বক্তব্য, নতুন ব্যবস্থায় দু’টি পরিচয়পত্র মিলিয়ে দেখে ভোটারের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

কমিশনের নির্দেশ, ওই কাজ (ন্যাশনাল ইলেকটোরাল রোল পিউরিফিকেশন অ্যান্ড অথেন্টিকেশন প্রোগাম বা এনইআরপিএপি) ৩ মার্চের মধ্যে শুরু করতে হবে। দফায় দফায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট ৭ অগস্টের মধ্যে পাঠাতে হবে।

জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনের এই নতুন কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আধার নম্বর যোগ করার বিষয়টি নিয়ে পয়লা এপ্রিল থেকে ভোটারদের ঘরে ঘরে সমীক্ষা চালাবেন বুথ স্তরের অফিসাররা। তাঁরা আধার নম্বর সংগ্রহও করবেন। যাঁদের আধার কার্ড নেই, তাঁরা যাতে দ্রুত তা হাতে পান, সে জন্য প্রতি ব্লক অফিসে এবং পুরসভায় কেন্দ্র করা হয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ ক্যাম্পও করা যেতে পারে।

জেলার ওসি (ইলেকশন) প্রেমবিভাস কাঁসারি জানান, ভোটাররাও ৫১৯৬৯ নম্বরে এসএমএস করে নিজের আধার নম্বর জানাতে পারবেন। ব্যবস্থা থাকছে নির্বাচন কমিশনের ই-মেলে জানানোরও। এ ছাড়াও গত ২৫ জানুয়ারি চালু হওয়া ‘ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টাল’-এ আধার সম্পর্কিত তথ্য দিতে পারবেন ভোটাররা। টোল ফ্রি নম্বর ১৯৫০-সহ আরও কিছু ব্যবস্থা থাকছে। ওই নম্বরে ফোন করে ভোটাররা তথ্য জানাতে পারবেন।

গত ২৭ ফেব্রয়ারি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশিকায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানায়, চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি প্রকাশিত সর্বশেষ পরিমার্জনের পরেও ত্রুটি থেকে গিয়েছে ভোটার তালিকায়। শুদ্ধ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির লক্ষ্যে এ বার তাই ভোটারের এপিক নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বরের নথিভুক্তকরণ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সেই কর্মসূচি রূপায়ণের পন্থাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কী সেই পদ্ধতি?

জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নাগাড়ে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা তৈরির প্রক্রিয়া চলবে। কাজ সুসম্পন্ন করতে প্রতিটি বুথ স্তরে অফিসার নিয়োগ করা হবে ১৫ মার্চের মধ্যে। বুথ স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দলও তৈরি করা হবে ওই তারিখের মধ্যেই। প্রথম বিশেষ শিবিরটি করা হবে ১২ এপ্রিল। এর পর প্রতি মাসের যে কোনও রবিবার একটি বিশেষ সচেতনতা শিবির করা হবে। ৩১ মার্চের মধ্যে ১০ শতাংশ কাজ তুলতে হবে। আরও ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে। এ রকম মোট পাঁচ দফায় ১০০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সব কাজের রিপোর্ট পাঠানোর সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকার সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক (বিডিও), নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক (এসডিও) এবং জেলা নির্বাচন আধিকারিক (জেলাশাসক) পর্যায়ক্রমে ওই কর্মসূচি তদারক করবেন।

arambagh voter list hoogly southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy