Advertisement
১১ মে ২০২৪
Calcutta High Court

বাংলায় শ্বশুরবাড়ি এসে নিরুদ্দেশ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-অধিকর্তা, সাত মাস পরে আদালতে স্ত্রী

হুগলিতে শ্বশুরবাড়ি যান কেন্দ্রীয় সরকারের ওই কর্তা। সেখান থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ জানাতে পারেনি পুলিশ এবং সিআইডি। এই অবস্থায় স্বামীকে পেতে হাই কোর্টে স্ত্রী।

A photograph of Calcutta High court

শ্বশুরবাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-অধিকর্তা, সাত মাসেও স্বামীর খবর না পেয়ে আদালতে স্ত্রী। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ১৬:৫৬
Share: Save:

কাজের সূত্রে কলকাতায় এসে নিখোঁজ কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম অধিকর্তা! পটনা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। পরে হুগলিতে শ্বশুরবাড়ি যান জামাই। সেখান থেকেই তাঁর আর নাগাল পাওয়া যায়নি। ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তাঁর খোঁজ জানাতে পারেনি পুলিশ এবং সিআইডি। এমনই দাবি তুলে স্বামীকে পেতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ স্ত্রী। হেভিয়াস কর্পাসের মামলা করে উচ্চ আদালতে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে স্বামীকে খুঁজে আনা হোক। আগামী ৬ জুন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

স্বামীর হদিস না পেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছেন স্ত্রী পিয়ালি মাণ্ডি। তাঁর বক্তব্য, স্বামী সুকুমার মাণ্ডি কেন্দ্রীয় সরকারের ধান উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা হিসাবে পটনায় কাজ করেন। গত বছর ১৪ নভেম্বর অফিসের কাজে তিনি কলকাতায় আসেন। কাজ সেরে সে দিন গভীর রাতে হুগলির হরিপালে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেখান থেকে সুকুমার চলে যান। সেই থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁকে পাওয়া যায়নি। ১৯ নভেম্বর হুগলির থানায় স্বামীর ‘নিখোঁজ ডায়েরি’ করেন পিয়ালি। বিষয়টি জানানো হয় সিআইডিকেও। কিন্তু এত দিনেও স্বামীর কোনও সন্ধান তারা দিতে পারেনি। পিয়ালি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকেন। স্বামীর অফিসের কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন। বিভিন্ন সময় তাঁকে পটনা থেকে কলকাতায় আসতে হত। ওই দিনও তিনি শহরে এসেছিলেন। কিন্তু তার পর কলকাতা থেকে কেন হুগলির শ্বশুরবাড়িতে গেলেন তা তাঁর জানা নেই।

সুকুমার নিখোঁজের খবর পেয়ে সরকারের তরফেও পটনার থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই অধিকর্তার। পিয়ালির অভিযোগ, নিখোঁজ হয়েছেন জানতে পেরে স্বামীর বেতন-সহ অন্য সুবিধা বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট দফতর। আদালতে তাঁর আবেদন, স্বামীকে খুঁজে হাজির করানো হোক। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর বেতন দেওয়া হোক পরিবারকে। এখন হাই কোর্টের গরমের ছুটি চলছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে আদালত খুললে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Central Government Husband Wife
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE