জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের নিন্দা করে তার প্রতিরোধে এগিয়ে আসার ডাক দিলেন ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা। এর আগে বাল্যবিবাহ রোধ বা পোলিও নিয়ে সচেতন করতে একাধিক বার সভা করেছেন ইমামরা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যখন পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি-জাল গড়ে ওঠার সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের যোগসাজসের অভিযোগ উঠছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশনের এই ডাক তাৎপর্যপূর্ণ। সভায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সভ্যতার শত্রু। মৌলানা আব্দুল খালেকের কথায়, “ইসলাম কখনও মানুষ মারার কথা বলে না।”
রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মুনিরিয়া হাই মাদ্রাসায় ওই সভা আয়োজিত হয়। সভায় মৌলানা রফিকুল হাসান বলেন, “ইমামরা গ্রামের নেতা। তাঁদের শুধু মসজিদে আটকে থাকলে হবে না। দিনের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্তে বড় জোর ৬০ মিনিট নমাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। বাকি ২৩ ঘণ্টা গ্রামের দায়িত্ব নিতে হবে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদেরই।” তাঁর কথায়, ইমামরা গ্রামের মাথা। মসজিদের পাশের বাড়িতে যে শিশু রয়েছে, তার শিক্ষার দায়িত্বও নিতে হবে ইমামকে। গ্রামের সম্প্রীতি রক্ষায় ইমামকেই এগিয়ে যেতে হবে। ইমাম যদি সচেতন থাকেন, গ্রামের মধ্যে দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাতে পারবে না।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, “গ্রামের সব মানুষ সাধারণত ইমামের পরিচিত হন। সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে কেউ গ্রামে এলে ইমামদের চোখে তা পড়বেই। ইমামরা সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন।” তবে তাঁর কথায়, সীমান্ত পেরিয়ে কোন দিক দিয়ে কী ভাবে কারা আসে, তা জানার কথা পুলিশ ও বিএসএফের। জঙ্গিপুরের বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব জানান, কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে। ইমামদের দায়িত্ব তাঁদের সেই বিভ্রান্তির পথ থেকে মুক্ত করা।