কুণাল ঘোষ আর রজত মজুমদারের দৃষ্টান্ত ছিলই। এ বার যোগ হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের নাম।
সিবিআইয়ের মতে, এই তিন জনের মধ্যে মিল হল এঁরা তিন জনেই সারদার উঁচু পদে ছিলেন। তার পর এই তিন জনেই তৃণমূলেও উঁচু পদ পান। কুণাল এবং ইমরান, দু’জনে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন। প্রাক্তন ডিজি রজত তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে আসীন হন।
সারদায় কুণাল ছিলেন গ্রুপ মিডিয়া সিইও, অর্থাৎ সারদার সংবাদমাধ্যমগুলির শীর্ষ কর্তা। রজত ছিলেন সারদার ভাইস প্রেসিডেন্ট। সিবিআই অফিসারেরা জানাচ্ছেন, সারদা পাবলিশার্স ও প্রিন্টার্স লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন ইমরান। তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত যাঁদের জেরা করেছে সিবিআই, তাঁরাই জেরায় জানান, ২০১৩-র রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে ইমরান সারদার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রেই এই খবর মিলেছে।
বুধবার ইমরানকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু ইমরান আসেননি। ইমরান-ঘনিষ্ঠরা জানান, সাংসদ দিল্লি গিয়েছেন। ফিরে এসেই তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন।
সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, দেশকাল পাবলিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা ‘কলম’ পত্রিকাটি ছাপত। এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন ইমরান। পরে তিনি পত্রিকাটি সারদাকে হস্তান্তর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, এই সময়ই তিনি সারদা পাবলিশার্স ও প্রিন্টার্সের ডিরেক্টর হন। ‘কলম’ পত্রিকায় কার্যকরী সম্পাদকের দায়িত্বও ইমরানই সামলাতেন। তার জন্য সারদা থেকে মোটা টাকা বেতন নিতেন বলেও সিবিআই সূত্রের খবর।
চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নের কাছ থেকেও একটি সংবাদ চ্যানেল কিনেছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ শুভাপ্রসন্নকে দিন কয়েক আগেই নোটিস দিয়ে এই সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই। বুধবার সেই সব নথি সিবিআইয়ের কাছে পাঠান শুভাপ্রসন্ন। এ দিন তাঁর এক প্রতিনিধি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই নথি জমা দেন।
অসমের অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু)-এর সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ রায়ও এ দিন সিবিআই অফিসে এসে কিছু নথিপত্র দিয়ে যান। আসুও সারদার টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। অসমে ‘সকালবেলা’ নামের একটি সংবাদপত্র শুরু করেছিলেন সুদীপ্ত। এ দিন সেই সংস্থার দুই হিসাবরক্ষকও ওই সংবাদপত্রের নথি নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন।
এ দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দফতরে হাজির হয়েছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের দুই কর্তা। পরে তাঁদের এক জন, সুমন ঘোষ বলেন, “আমরা তদন্তের কাজে যথাসম্ভব সাহায্য করছি। আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। ওই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy