ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জট কাটাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এতে শেষ অবধি জট কাটবে কি না, প্রশ্ন তুললেন আইনজীবীদেরই একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আগেও প্রকল্পের জট কাটাতে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তাই আবার একটি কমিটি গড়ে আদৌ কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন, প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থা, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশকে গত ১৯ ডিসেম্বর একসঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। তাঁর আরও নির্দেশ ছিল, বৈঠকের সিদ্ধান্ত রিপোর্ট আকারে সোমবার কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে জানাতে হবে।
কিন্তু এ দিন শুনানি শুরু হতে রিপোর্ট জমা না পড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি পাথেরিয়া বলেন, বৈঠকের আলোচ্য সূচি তিনি চাননি। রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি আরও জানান, প্রকল্পের জট কাটাতে যে সব অফিসার উদ্যোগী হচ্ছেন না, তাঁদের সরে দাঁড়ানো উচিত।
এর পরেই বিচারপতি বলেন, ওই দিনের বৈঠকে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের এ দিনই হাজির হতে হবে। নির্দেশ পেয়ে তাঁরা এলে, বিচারপতি সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসার ও তাঁদের আইনজীবী ছাড়া অন্যদের বাইরে যেতে নির্দেশ দেন।
রুদ্ধদ্বার আদালতে ফের শুনানির শেষে সংশ্লিষ্ট দফতরের আইনজীবীরা জানান, জট কাটাতে বিচারপতি পাঁচ জনের কমিটি গড়ে দিয়েছেন। কমিটিতে রেল বোর্ড, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন, রাজ্য সরকার, কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা থেকে এক জন করে প্রতিনিধি আছেন। হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ স্টেশন পর্যন্ত কাজ কী ভাবে হবে, মহাকরণ স্টেশন অন্যত্র গড়ার জন্য কী করতে হবে, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। এ ছাড়া প্রকল্পের বিকল্প রুট তৈরি হলে তার বাড়তি টাকা কে জোগাবে তা-ও আদালতের নির্দেশে আলোচনা করবে ওই কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy