সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসকে পিছন থেকে অন্য একটি বাস ধাক্কা মারায় জখম হলেন এক ট্রাফিক কনস্টেবল-সহ ১৯ জন। মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার রোডের ঘটনা। আহতদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এ দিন ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল হাওড়া থেকে চেতলাগামী একটি বাস। তখন হাওড়া-মহেশতলা রুটের আর একটি বাস সেটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। চেতলাগামী বাসটির সামনে তখন সিগন্যালে বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে। পিছনের বাসের ধাক্কা খেয়ে চেতলাগামী বাসটি সামনে একের পর এক গাড়িকে ধাক্কা মারতে মারতে এগিয়ে যায়। আহত হন কনস্টেবল শিবু বর্মণ।
মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে মহেশতলাগামী বাসটিতে বাড়ি ফিরছিলেন শিল্পা দাস। তিনি বাসে দাঁড়িয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরে বাসের মেঝেতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে শিল্পাদেবী বলেন, ‘‘আচমকা ধাক্কায় মেয়ে খুব ভয় পেয়ে যায়।’’ হুগলির বাসিন্দা অচিন্ত্য দাস অফিস যাচ্ছিলেন চেতলাগামী বাসটিতে। তিনি ছিলেন শেষ সিটে। মহেশতলাগামী বাসের ধাক্কায় ভেঙে যায় চেতলাগামী বাসটির পিছনের জানলার কাচ। ভাঙা কাচে হাতের আঙুল ও কপাল কেটে যায় অচিন্ত্যবাবুর। মহেশতলাগামী বাসটির চালক পলাতক বলে জানায় পুলিশ।
অন্য দিকে, এ দিনই ভোরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মহম্মদ শারিক (২৯)। বাড়ি বৌবাজারের ফিয়ার্স লেনে। পুলিশ জানায়, এ দিন গাড়ি চালিয়ে ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্রসদনের দিকে যাচ্ছিলেন শারিক। তিনি একাই ছিলেন। ইস্পাত ভবনের সামনে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। এসএসকেএমে চিকিৎসকেরা শারিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy