দেওয়ালির রাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটল। একটি ক্ষেত্রে বাজি থেকে আগুন লাগলেও অন্যগুলির ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি।
মধ্য কলকাতার গভর্নমেন্ট প্লেসের একটি বহুতলে রবিবার রাতে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ নম্বর গভর্নমেন্ট প্লেসের ওই বহুতলের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। বহুতলটির অন্য ফ্ল্যাটগুলির বেশির ভাগই অফিস হিসেবে ব্যবহার হলেও ওই ফ্ল্যাটে একটি পরিবার থাকে। পুলিশ জানায়, প্রথমে ফ্ল্যাটের বারান্দার অ্যাসবেস্টসে আগুন লাগে। বারান্দা লাগোয়া বেশ ক’টি অফিসে আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দমকল এসে পরিস্থিতি সামলায়।
আগুন লাগার সময়ে বহুতলে কেউ ছিলেন না। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত সওয়া এগারোটা নাগাদ আগুন দেখতে পাওয়া যায়। আশপাশের অফিসের নিরাপত্তারক্ষীরা বেরিয়ে আসেন। কোনও হাউই বা রকেট পড়ে আগুন লেগেছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি দমকল।
রবিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ আগুন লাগে নারকেলডাঙার একটি বাড়িতে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়ির ছাদে এক কোণে রাখা জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, বাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মিনিট পনেরোর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার রাতেই একটা নাগাদ হরিদেবপুরের কালীপদ মুখার্জি রোডের একটি ছ’তলা বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়ির চার তলার একটি বারান্দায় প্লাস্টিকের ছাউনিতে আগুন ধরে যায় বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিন মিনিট পনেরোর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তপসিয়ার মহেন্দ্র রায় লেনের একটি বাড়িতেও রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে। মিনিট দশেকের মধ্যে সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। হরিদেবপুর এবং তপসিয়ার এই দু’টি বাড়ির ক্ষেত্রেও আগুন লাগার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি দমকল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy