বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌম্যদীপ। নিজস্ব চিত্র
জন্ম থেকেই কানে শুনতে পেত না ছোট্ট ছেলেটি। ফলে কথা বলতে শেখেনি সে। মাস কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে ককলিয়া (কানের ভিতরের একটি অংশ) প্রতিস্থাপনের পরে শ্রবণশক্তি ফিরে আসে পাঁচ বছরের সেই শিশু সৌম্যদীপ প্রামাণিকের। তবুও কথা বলতে পারছিল না। অবশেষে মাস ছ’য়েক ধরে স্পিচ থেরাপি চলার পরে এ বার সৌম্যদীপের মুখে কথা ফুটেছে। আর পাঁচ জন বাচ্চার মতোই মা-বাবাকে ছড়া শোনাচ্ছে সে।
এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের হাসপাতালে বিনামূল্যে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে তবেই আবেদন গৃহীত হয়। সৌম্যদীপের বাবা সঞ্জীব প্রামাণিক পূর্ব মেদিনীপুরের জাফুলিবিবি চক গ্রামের বাসিন্দা। সোনার দোকানের কর্মী সঞ্জীববাবু তাঁর ছেলেকে বনহুগলির প্রতিবন্ধীদের একটি স্কুলে পড়াতে গিয়েই প্রথম জানতে পারেন ককলিয়া প্রতিস্থাপনের কথা। সেই মতো গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি সৌম্যদীপের ককলিয়া প্রতিস্থাপনের জন্য এসএসকেএমে আবেদনও করেন। সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘অপারেশন করার জন্যই ছেলে শ্রবণশক্তি ফিরে পেল। আগে তো কথাই বলতে পারত না। স্পিচ থেরাপির পরে ওর মুখে এখন কথা ফুটেছে।’’
এসএসকেএমে সৌম্যদীপের ককলিয়া প্রতিস্থাপন করেছেন যে চিকিৎসকেরা, তাঁদেরই এক জন অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘ককলিয়া প্রতিস্থাপনের যন্ত্রটি মুম্বই থেকে আনতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের মাধ্যমে পাওয়া গেলে যন্ত্রটি আরও দ্রুত আনা যেত। তাতে অনেকে উপকৃত হতেন।’’ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছর অথবা তার থেকে কম বয়সি শিশুদের ককলিয়া প্রতিস্থাপনের পরে স্পিচ থেরাপি শুরু করালে তাদের কথা বলার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছে সৌম্যদীপের ক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy