Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সরফু সাবালক সেলে

এমনিতে নাবালকদের জন্য সরকারি হোম। তবে আড়িয়াদহের ওই ধ্রুবাশ্রমে আলাদা সেল রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের রাখার জন্য। যারা নাবালক অভিযুক্ত হিসেবে হোমে ঢুকেছিল, পরে সাবালক হয়েছে, মূলত তাদেরই রাখা হয় ওই সেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০১:২৮
Share: Save:

এমনিতে নাবালকদের জন্য সরকারি হোম। তবে আড়িয়াদহের ওই ধ্রুবাশ্রমে আলাদা সেল রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের রাখার জন্য। যারা নাবালক অভিযুক্ত হিসেবে হোমে ঢুকেছিল, পরে সাবালক হয়েছে, মূলত তাদেরই রাখা হয় ওই সেলে। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে এখন ধ্রুবাশ্রমের ওই সেলে রাখা হয়েছে ১৬ বছর আগে কলকাতায় একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত সরফুদ্দিন ওরফে সরফুকে।

পুরনো ওই খুনের মামলার ফাইল খুলে নতুন ভাবে তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের ভয় ছিল— খুনের সময়ে নাবালক, তবে এখন সাবালক সরফুকে নাবালকদের কোনও হোমে রাখা সম্ভবপর নয়, তাই সে হয়তো জামিনে মুক্তি পেয়ে যাবে। তদন্তকারীরা এখন সেই দুশ্চিন্তামুক্ত। সরফু এখন ত্রিশোর্ধ্ব যুবক। ২০০১-এর ২৯ জুন মধ্য কলকাতার আর এন মুখার্জি রোডে নওয়াজ এরুচশা ওয়াদিয়া নামে এক পার্সি মহিলা খুনের মামলায় সে অভিযুক্ত। তখন সরফুর বয়স ছিল ১৫ বছর। কাজেই, ওই মামলার অভিযুক্ত হিসেবে গত সপ্তাহে লালবাজারের গোয়েন্দারা সরফুকে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করান। সরফুকে ধ্রুবাশ্রমে পাঠানো হয়, তবে রাখা হয় বড়দের সেলে।

যে বন্দুক দিয়ে সরফু খুন করেছিল, তা পাওয়া যায়নি। এক গোয়েন্দাকর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘অপরাধ প্রমাণ করতে মারণাস্ত্রটি যে পেতেই হবে, তা নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্টে তো বলাই হয়েছে, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Accused Government Home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE