—প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকের পরে এ বার রাজারহাট এলাকা থেকেও জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশি পরিষেবার মূল্য আদায় করার পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর পুরসভা। সম্পত্তিকরের সঙ্গেই ওই মূল্য জুড়ে নাগরিকদের বিল পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পেশ করা পুরসভার ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে তেমনই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই নতুন এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। রাজ্য সরকারের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্দেশিকার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে পুরসভা জানিয়েছে।
এত দিন ওই মূল্য আদায় করা হত কেবল সল্টলেকের ২৯-৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িগুলি থেকে। বাদ ছিল সংযুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ৩৫, ৩৬ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড। এ বার ওই তিনটি ওয়ার্ড-সহ রাজারহাটের ওয়ার্ডগুলি থেকে জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশি পরিষেবার ওই মূল্য আদায় করা হবে। যা সম্পত্তিকরের বিলে যুক্ত হবে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথমত, নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে আর্থিক ভাবে চাঙ্গা রাখতেই এই ব্যবস্থা। দ্বিতীয়ত, মূল্য দিয়ে জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশি পরিষেবা নিতে হবে জেনে আবাসিকেরাও এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখায় সচেষ্ট থাকবেন।
বার্ষিক সম্পত্তিকরের উপরে ১ শতাংশ হারে আবর্জনা সাফাই এবং ০.৭৫ শতাংশ হারে নিকাশি পরিষেবার মূল্য নেওয়া হবে বলেই বাজেটে পরিকল্পনা হয়েছে। বাজেটে সম্পত্তিকর থেকে আদায় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। পুর পরিষেবার মানোন্নয়নে পুরপ্রতিনিধিদের তহবিলের অঙ্ক বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার প্রস্তাবিত বাজেটে যে সব উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পোষ্যদের জন্য পুর এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণ। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আশ্রয়স্থল তৈরির চিন্তাভাবনাও এই বাজেটে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিনের ঘোষণা অনুযায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও ক্যাজ়ুয়াল পুরকর্মীদের বেতনের ক্ষেত্রেও আসছে পরিবর্তন। রাজারহাট এলাকার কর্মীদের বেতন ১৫০০ টাকা এবং সল্টলেকের কর্মীদের বেতন ১০০০ টাকা করে বাড়ানোর কথাও বাজেটে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy