ফের সল্টলেকে ছিনতাই। এ বার থানার অদূরেই এইচ বি ব্লকে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ। তদন্তে নেমেছে বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে এইচ বি ব্লকের বাসিন্দা মন্দিরা ভট্টাচার্য নামে এক মহিলা কমিউনিটি হল থেকে পুজোর মিটিং সেরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি ছেলে মোটরবাইকে বসে গান শুনছিল। সাদা হাফ শার্ট পরা অন্য একটি ছেলে এসে সে সময়ে ওই যুবককে প্রথমে বাংলা, পরে হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করে, ওই রাস্তাটি কোন দিকে গিয়েছে। তখন মন্দিরাদেবী ওই যুবককে রাস্তা বলে দেন।
মন্দিরাদেবী বলেন, “আমার সামনে খুব আস্তে একটি মোটরবাইক যাচ্ছিল। চালকের মাথায় হেলমেট ছিল। আচমকা আমার বাঁ কাধে কেউ হাত দেয়। পিছনে ঘুরতে না ঘুরতেই গলায় টান পড়ে। তার পরেই দেখি, হারটি উধাও।” মহিলার দাবি, যে ছেলেটি রাস্তা জানতে চেয়েছিল, সেই ছিনতাই করেছে। পুলিশ জেনেছে, হার ছিনিয়ে নিয়ে ওই যুবক সামনের মোটরবাইকে উঠে চম্পট দেয়। এর পরে ব্লকের লোকজনই পুলিশে খবর দেন।
এইচ বি ব্লকের এক বাসিন্দা শঙ্কর দেব জানান, কমিউনিটি হলের কাছেই মন্দিরাদেবীর বাড়ি। তিনি যে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন, দুষ্কৃতীরা তা দেখেছিল। ঘটনার পরে তিনিই ওই মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। শঙ্করবাবু বলেন, “পুজো আসছে, উপদ্রব শুরু হল। আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।”
পরপর পুলিশি অভিযানে এর আগে সল্টলেকে ধরা পড়েছে একাধিক ছিনতাইবাজ। পুলিশি নজরদারির জেরে মাঝে কিছু দিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এমনকী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুখ্যাত এক ডাকাতদলকেও সম্প্রতি পুলিশ ধরেছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নজরদারি একটি ঢিলে হতেই গত কয়েক মাসে ফের সক্রিয় হয়েছে দুষ্কৃতীরা।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সল্টলেকে বিভিন্ন ব্লকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক ছাড়াও রেস্তোরাঁ, শপিং মল হয়েছে। প্রতিদিন বাইরে থেকে বহু মানুষ সল্টলেকে যাতায়াত করছেন। সামনেই পুজো, ফলে লোক যাতায়াত আরও বাড়বে। কিন্তু সেই তুলনায় নজরদারি পর্যাপ্ত নয়। রাত বাড়লেই মোটরবাইক বাহিনী রীতিমতো আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
বিধাননগর পুলিশ অবশ্য এই সব অভিযোগ পুরোপুরি মানতে চায়নি। এক পুলিশকর্তার দাবি, নজরদারি আগের থেকে অনেক বেড়েছে। নিয়মিত অভিযানে সাফল্যও মিলেছে। ধরা পড়েছে একাধিক দুষ্কৃতী। তবে বৃহস্পতিবারের ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনায় নতুন কোনও চক্র যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy