রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী না মেলার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গল কেমিক্যালের কাছে সল্টলেকের দত্তাবাদে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। বাসিন্দারা দোকানের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। এর জেরে সাময়িক ভাবে যানজট হয় ইএম বাইপাসেও। শেষে পুলিশ ও স্থানীয় পুরপ্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রেশন দোকানে অধিকাংশ সময়েই চাল, ডাল ও অন্য খাদ্যসামগ্রী মিলছে না। তাঁদের দাবি, খাদ্য দফতর ওই দোকানে সব পাঠিয়ে দিলেও তা মিলছে না। তাহলে এই খাদ্যসামগ্রী যাচ্ছে কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ দিন ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘ওই রেশন দোকানের আওতায় ১৩ হাজার লোকের কার্ড রয়েছে। কিন্তু তাঁরা নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না। অথচ সরকার খাদ্যসামগ্রীর ঢালাও সরবরাহ করছে।’’ এ দিনই কাউন্সিলর ও পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দা ও রেশন দোকানদারের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, রেশন দোকান কর্তৃপক্ষের একাংশ পুলিশের সামনে দাবি করেছেন, খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহ ঠিক মতো না হওয়াতেই এই সমস্যা।
আগে একবার খোদ খাদ্যমন্ত্রী ওই দোকানে হানা দিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম ধরে ফেলেছিলেন। তার পরেও কী ভাবে একই অবস্থা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন রেশন দোকানে অভিযান চালানোর পরেও রেশন মালিকদের একাংশের এখনও হুঁশ ফিরছে না। রেশন কার্ড পিছু খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছে খাদ্য দফতর। কিন্তু তার পরেও এ ধরনের অভিযোগ আসছে। এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য সমস্যার সুরাহার অন্য একটি দিক ভেবেছেন। তাঁদের দাবি, একটি দোকানে ১৩ হাজার কার্ড না রেখে তা দু’টি দোকানের মধ্যে ভাগ করে দিলে এই সমস্যা কমবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই তেমন চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। প্রতি দোকান পিছু ৫ হাজার রেশন কার্ড রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।