Advertisement
১৭ মে ২০২৪
বালিগঞ্জ প্লেস

মীমাংসায় আগ্রহী ক্লাব চায় বৈঠকে বসতে

‘আতঙ্কিত’ পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন বালিগঞ্জ প্লেসের ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে গড়িয়াহাট থানার কাছেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তবে ক্লাব কর্তাদের এই প্রস্তাব শুনে বালিগঞ্জ প্লেসের ওই পরিবারের তরফে বলা হয়, আমাদের কাছে এখনও ক্লাবের কেউ এমন প্রস্তাব দেয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫২
Share: Save:

‘আতঙ্কিত’ পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন বালিগঞ্জ প্লেসের ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে গড়িয়াহাট থানার কাছেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তবে ক্লাব কর্তাদের এই প্রস্তাব শুনে বালিগঞ্জ প্লেসের ওই পরিবারের তরফে বলা হয়, আমাদের কাছে এখনও ক্লাবের কেউ এমন প্রস্তাব দেয়নি। তবে আলোচনায় বসার আগে সেই দিন রাতের ঘটনা যে ভুল হয়েছিল তা ক্লাবের কর্তাদের স্বীকার করতে হবে।

অভিযোগ, রবিবার রাত দশটার পরেও কালীপুজো উপলক্ষে মাইক বাজিয়ে জলসা চালাচ্ছিলেন বালিগঞ্জ প্লেসের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। প্রতিবাদ করেছিলেন ওই পাড়ারই বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি বাসুদেব ঘোষ এবং কেয়া চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করার সময় উদ্যোক্তারা ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখেন তাঁদের দু’টি ফ্ল্যাটের জানলার কাচ ভাঙা। যার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন বাসুদেববাবুর মা ৭৯ বছরের বৃদ্ধা অঞ্জলি ঘোষ। ঘটনার কথা জানিয়ে সোমবার গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগও করেন বাসুদেববাবু।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গড়িয়াহাট থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই ক্লাবের কর্তৃপক্ষকে। সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন থানার কর্তারা। গড়িয়াহাট থানার কর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে বালিগঞ্জ প্লেসের ওই ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন হবে। তার পরেই দু’এক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাসুদেববাবুর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যাটি মিটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ক্লাবের কর্তারা।

বালিগঞ্জ প্লেসের ওই ক্লাবের অন্যতম কর্তা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ও আলোচনার মাধ্যমে বাসুদেববাবুদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ক্লাবের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘‘বিসর্জন পর্ব মেটার পরে আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝিও সমস্যা মিটিয়ে নিতে চাই।’’

ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বাসুদেববাবুও। তবে সেই আলোচনায় বসার জন্য তিনি শর্তও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রবিবার রাতে মাইক বাজাতে বন্ধ করার পরে ক্লাবের কর্তারা যে আচরণ করেছিলেন তা যে ভুল হয়েছিল সেই কথা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে স্বীকার করতে হবে। তবেই আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হবে না।’’

তবে বাসুদেববাবুকে দেখে নেওয়ার হুমকি এবং তাঁর ঘরের জানলার কাচ ভাঙার অভিযোগে পুলিশ সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এই বিষয়ে গড়িয়াহাট থানার বক্তব্য বাসুদেববাবু নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। গড়িয়াহাট থানার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE