রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন পড়ে ছিল ফাঁকা জায়গা। এলাকায় নেই পর্যাপ্ত আলো। ঝোপঝাড়ে ভরা গল্ফগ্রিনের উদয়শঙ্কর সরণির বেশ খানিকটা জায়গা পরিণত হয়েছিল উন্মুক্ত ভ্যাটে। এ বার বদলাচ্ছে সেই ছবিটা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জায়গায় আবর্জনা ফেলা হত। এ ছাড়াও রাতে ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের আড্ডাও বসত। পরিস্থিতি বদলাতে এলাকায় সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে সেই জায়গা। নানা প্রজাতির গাছ লাগিয়ে ওই এলাকার আমূল পরিবর্তন করা হবে।
কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের তপন দাশগুপ্ত জানান, দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এতে খরচ হচ্ছে ২৯ লক্ষ টাকা। প্রথমে পাঁচিল দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গোটা এলাকাটিকে কয়েক ভাগে ভাগ করে গাছ বসানো হবে। এমনকী আনাজ চাষও করা হবে। এ ছাড়া এলাকায় আলো লাগানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই জায়গা থেকে বেরনো দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচারী। আলো ছিল না ওখানে। রাতের অন্ধকারে বহিরাগতরা এসে ভিড় করত। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন বাসিন্দারা। আলো না থাকার কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তপনবাবু জানান, পুলিশের সাহায্যে সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান করা গেলেও স্থায়ী সমাধানে সৌন্দর্যায়নই ছিল এক মাত্র পথ।
এলাকাবাসীও খুশি। তাঁদের কথায়, ‘‘সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।’’ কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কী কী গাছ বসানো যায়, সেটা উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের থেকে জানতে চাওয়া হবে। আশা করছি ছ’ মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’’