প্রতীকী ছবি।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পথ দেখিয়েছেন বাগুইআটির বাসিন্দারা। উৎসবের আমেজ কাটলে এ বার সেই পথেই তাঁদের নিয়ে হাঁটার পরিকল্পনা করছে বিধাননগর পুরসভা। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, এতে সচেতনতায় গতি আসবে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ধাঁচে ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট চালুর দাবিও করেছেন তাঁরা।
বিধাননগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দার উদ্যোগে জর্দাবাগান, জনপদ, হাতিয়াড়া রোডে ব্লিচিং ছড়ানো, মশার তেল স্প্রে করা হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল পুরসভার ভূমিকা নিয়েই।
এ বার সেই অভিযোগ সরিয়ে রেখে বাসিন্দাদের কাজকে স্বাগত জানিয়েছে পুরসভা। পুর কর্তাদের একাংশের মতে, বছরভর সচেতনতার অভিযানে তেমন সাড়া মেলেনি। মশা নিধন করতে যাওয়া পুর কর্মীদের অনেক বাসিন্দাই বাড়িতে ঢুকতে দেন না। কর্তাদের মতে, এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের একাংশ যদি পুরসভার পাশে থাকেন, তবে কাজটা সহজ হয়।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮০০ জনের শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ মিলেছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬০ জন। এ ছাড়াও হাজারের বেশি মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। অথচ অগস্ট পর্যন্ত সংখ্যাটা কম ছিল। গত দু’মাসে যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতে মশা দমনে পুরসভার কাজে গতি ছিল। যত সময় গড়িয়েছে পুরসভার কাজে শিথিলতা এসেছে। বাসিন্দাদের তথ্য গোপনের প্রবণতাও সমস্যা বাড়াচ্ছে। বাগুইআটির বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্মার্ট সিটি প্রকল্প নিয়ে জনমত গঠনের সময়ে কয়েক হাজার লোককে পথে নামাতে সমর্থ হয়েছিল পুরসভা। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু করুক পুরসভা।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর পর থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্লাব, নাগরিক সমিতি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হবে। এর ফলে জ্বরে আক্রান্তদের তথ্য পেতেও সুবিধা হবে। সল্টলেকের একটি সংগঠনের কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘বহু দিন থেকেই বাসিন্দাদের যুক্ত করতে বলে আসছি। মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে প্রশাসনের উপরে নির্ভরতা ত্যাগ করতে হবে।’’
পুর এলাকার বাসিন্দাদের মতে, বহু জায়গায় মশার উৎসস্থল সে ভাবে পাওয়া না গেলেও ডেঙ্গির দাপট বেড়েছে। বছরভর কেন মশা বাড়ছে, চরিত্র বদলে কী ভাবে আক্রমণাত্মক হচ্ছে তা জানতে গবেষণা ও নজরদারি দরকার। এ জন্য আধুনিক ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট তৈরি হোক।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘পুজোর পরে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে গতি আনতে বাসিন্দাদের সঙ্গে নেওয়া হবে। ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট তৈরি নিয়েও আলোচনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy