প্রতীকী ছবি
তাপমাত্রার পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রক্তের চাহিদা। রক্তের সঙ্কটে ভুগছে রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্ক। সঙ্কট মেটাতে পুলিশ থেকে পুরসভা— সবাইকে রক্তদান শিবির আয়োজন করতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শীতকালের তুলনায় গরমে রক্তদান শিবির কম হয়। পাশাপাশি, সন্ধ্যাবেলায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরগুলিও তেমন সাফল্য পাচ্ছে না। যার জেরে অভাব মিটছে না ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির। তার উপরে হোল ব্লাড ভেঙে বিভিন্ন উপাদানে ভাগ করে ব্যবহার করার পরিকাঠামো রাজ্যের সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কেও নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে রক্তের অপচয়ও হচ্ছে। রক্তের সঙ্কটের জেরে ভুগতে হচ্ছে বহু রোগীকে। রক্তের অভাবে রোগী-মৃত্যুরও অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
রক্তের সঙ্কট দূর করতে শহরের পুজো কমিটিগুলি একসঙ্গে রবিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। দিনভর চলে এই কর্মসূচি।
আয়োজকেরা জানান, শহরের প্রায় শ’খানেক ক্লাব একজোট হয়ে এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। প্রায় এক হাজার মানুষ রক্তদান করেছেন। ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মধ্যেও রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা চালানো ও রক্তদানে উৎসাহী করে তোলাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। তাঁদের দাবি, সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
এই কাজে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স। প্রতি ইউনিট রক্ত যেন ব্যবহার করা যায়, তার দায়িত্ব নিয়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন। এই শিবির থেকে সংগৃহীত রক্ত এনআরএস, এসএসকেএম, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি বাঁকুড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলার ব্লা়ড ব্যাঙ্কেও পাঠানো হবে। যদিও ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা জানাচ্ছেন, যে হারে রক্তের চাহিদা রয়েছে, তাতে হাজার ইউনিট রক্তে মাত্র চার-পাঁচ দিন চলবে।
দীর্ঘ দিন রক্তদান শিবিরে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে রক্তদান শিবির কম হওয়ার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রক্তদানের আগ্রহও কমেছে। তাই এই সময়ে পুজো কমিটিগুলোর এই উদ্যোগ ইতিবাচক। আয়োজকদের তরফে পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের মধ্যে রক্তদান নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। ক্লাবগুলির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেটা আমাদের ভালো লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy