Advertisement
১০ জুন ২০২৪
Covid-19

করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শ সম্প্রচার বিধাননগরে

পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে চারশো জন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০২:৩০
Share: Save:

বিধাননগর পুর এলাকায় সভায় করোনার সংক্রমণ অব্যাহত। সচেতনতার প্রসারে এবং নাগরিকদের মানসিক ভাবে উদ্বুদ্ধ করতে শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকদের পরামর্শ সরাসরি নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করল বিধাননগর পুরসভা।

পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে চারশো জন।

এ দিন চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সৃজিত ঘোষকে নিয়ে আলোচনা সভা হয়। হাজির ছিলেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়-সহ মেয়র পারিষদেরা। ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নেন কাউন্সিলরেরাও। স্থানীয় কেব্‌ল এবং ফেসবুকে অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করা হয়। পুরসভা জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয়েছে। তা কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এ দিন চিকিৎসকেরা করোনার মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব-বিধি মেনে চলা কিংবা আক্রান্তের পরিবারের লোকজনকে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো নিয়ে সতর্ক করেন। টেলিভিশন কিংবা খবরের কাগজেও চিকিৎসকেরা নিয়মিত এমন পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু এ দিন বিধাননগর পুর ভবনে এসে চিকিৎসকদের পরামর্শের ওই ভিডিয়ো নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে লাভ হবে বলেই মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

কারণ পুরসভা সূত্রেরই খবর, বিধাননগর পুর এলাকার আবাসনগুলিতে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। বার বার প্রচার করে সতর্ক করা হলেও নাগরিকদের একাংশ আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না। অভিযোগ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার তথ্যও পুরসভাকে সময় মতো জানানো হচ্ছে না। খবর পেয়ে পুরসভা কাজ শুরু করার আগেই সংক্রমিতের পরিবারের সদস্যেরা বাড়ির বাইরে বার হওয়া শুরু করে দিচ্ছেন। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ও সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।

পুরকর্মীদের অনেকের অভিজ্ঞতা, নিম্নবিত্ত নাগরিকদের মধ্যে নিয়ম মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানছেন না অভিজাত এলাকার নাগরিকদের একাংশ। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, নাগরিকদের মানসিক ভাবে উদ্বুদ্ধ করতেই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা করোনার উপসর্গ, কোন পর্যায়ে কী করণীয়, তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছেন।

মেয়র বলেন, ‘‘এখানে বহু প্রবীণ নাগরিক একাই থাকেন। বিশেষত তাঁদের জন্য এমন আলোচনার প্রয়োজন ছিল। নাগরিকদের কাছে একান্ত অনুরোধ, উপসর্গ থাকলে কিংবা সংক্রমিত হলে পুর প্রশাসনকে জানান। তাতে সংক্রমণ দ্রুত ঠেকানো যাবে।’’

এ দিকে বিধাননগরের পাশাপাশি নিউ টাউনেও করোনা থাবা বসিয়েছে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আগেই জানিয়েছিল যে, চলতি সপ্তাহে শনি ও রবিবার নিউ টাউনে ১০টি বাজার বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হবে। সে অনুসারে এ দিন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, সম্প্রতি নিউ টাউনে মেট্রো প্রকল্প এলাকায় একাধিক ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। ওই এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE