স্থানীয় একটি ক্লাবের কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে জোর করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মধ্যমগ্রামের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা এক তরুণী। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, থানায় জানানো সত্ত্বেও পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করেনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে মামলা করেন ওই তরুণী। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দত্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ কী তদন্ত করছে, তার যাবতীয় নথি আজ, মঙ্গলবার মধ্যমগ্রাম থানাকে আদালতে পেশ করতে হবে।
সুস্মিতা রক্ষিত নামে ওই কলেজ ছাত্রীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহরায় জানান, সুস্মিতাদের বাড়ি মেরামতি হচ্ছে জেনে স্থানীয় ক্লাবের কয়েক জন রক্ষিত পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। সুস্মিতারা তিন হাজার টাকা দিলেও ওই যুবকেরা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ৩ মে তিনি ও তাঁর মা এক প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়েছিলেন। ওই যুবকেরা সেখানে গিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। সুস্মিতা ও তাঁর মাকে ক্লাবে চার ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সুস্মিতাদের বাড়িতে। ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকিও দেয় যুবকেরা।
৪ মে ঘটনাটি পুলিশকে জানান ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, চার মাস হয়ে গেলেও দোষীরা ধরা পড়েনি। উল্টে থানায় কেন ঘটনাটি জানানো হয়েছে, তা নিয়ে ওই যুবকেরা তাঁকে ফের হুমকি দেয়। তার পরে ৪ অগস্ট দ্বিতীয় বার সুস্মিতা পুলিশে অভিযোগ করেন।
সোমবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সরকারি কৌঁসুলি শুভব্রত দত্তের কাছে জানতে চান, দু’বার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। শুভব্রতবাবু জানান, প্রথম এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ নিম্ন আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।
সুস্মিতার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তদন্তকারী অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগকারিণীকে নিয়ে গিয়ে গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করেননি। প্রথম মামলার চার্জশিট পেশের কথাও তাঁকে জানানো হয়নি। তদন্তে ত্রুটি ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করা হয়। এর পরেই বিচারপতি দত্ত দু’টি মামলার যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেন। আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy