Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষোভ বেকার হস্টেলে

হস্টেলের আবাসিকদের একটা বড় অংশ মৌলানা আজাদ কলেজের স্নাতক স্তরের ছাত্র। আবাসিকদের বক্তব্য, হস্টেলের অনেক ছাত্রই ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৮
Share: Save:

ডেঙ্গি আক্রান্তদের কথা কেন বলা হচ্ছে, তা নিয়ে হস্টেলের দুই আবাসিককে বহিরাগতদের দিয়ে মারধর করিয়েছেন সুপার। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ তুলে, এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন বেকার হস্টেলের আবাসিক ছাত্রেরা। তাঁদের দাবি, ওই সুপারকে সরিয়ে দিতে হবে।

হস্টেলের আবাসিকদের একটা বড় অংশ মৌলানা আজাদ কলেজের স্নাতক স্তরের ছাত্র। আবাসিকদের বক্তব্য, হস্টেলের অনেক ছাত্রই ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মশার উৎপাত কমানোর দাবিতে সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেই তিনি বিরক্ত হন। এর পরেই ডেঙ্গির খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে সুপার রেগে যান। বৃহস্পতিবার হস্টেলের আবাসিক দুই ছাত্রকে তাঁর প্ররোচনায় কয়েক জন বহিরাগত এসে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁরা জানান, ওই দুই ছাত্রেরই আঘাত লেগেছে। এক জনের চশমাও ভেঙে গিয়েছে। এর পরেই ছাত্রেরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

ওই হস্টেলের আবাসিকদের একাংশ জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই ছাত্রেরা সুপারের ব্যবহার নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছিলেন। ছাত্রদের মারধর, মানসিক অত্যাচার করার মতো গুরুতর অভিযোগও করেছেন তাঁরা। কিন্তু ওই সুপার না সরায় এ দিন ফের দুই ছাত্র
প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

দুপুর থেকে গোলমাল হচ্ছে জেনে হস্টেলে এসেছিলেন মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ বিজয়কৃষ্ণ রায়। তিনি সুপারের সঙ্গে কথাও বলেন বলে ছাত্রদের বক্তব্য। কিন্তু অভিযোগ, এরই মধ্যে হস্টেল ছেড়ে চলে যান সুপার। তার পরেই ক্ষোভ বেড়ে যায়। হস্টেলের বারান্দায় কলেজের অধ্যক্ষকে চেয়ারে বসিয়ে রেখেই আবাসিক ছাত্রেরা আর এক দফা বিক্ষোভ শুরু করে দেন। অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলি না। যা বলার ডিপিআই (ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন) বলবেন।’’ গোটা চত্বর ঘুরেও অবশ্য এ দিন তাঁকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি ওই হস্টেলের সুপারকেও।

এর পরে এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আবাসিক ছাত্রেরা মিছিল করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে হস্টেল থেকে বেরিয়ে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড দিয়ে ওয়েলিংটন মোড়ের দিকে চলে যান। পিছনে পিছনে ছিলেন জনা চারেক পুলিশকর্মীও। কিন্তু তাঁরা বিক্ষোভকারীদের না আটকানোয় ওই রাস্তায় যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Baker hostel Complain super
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE