হাওড়া পুর এলাকায় কোনও কারণে জল জমলে তা কমছে না প্রশাসন ও পুরসভার গাফিলতিতেই, এই মর্মে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর মামলার আর্জিপত্রে এই অবস্থাকে ‘ম্যান-মেড’ বলেই অভিহিত করা হয়েছে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে সুভাষবাবুকে তাঁর বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের আরও নির্দেশ, ওই হলফনামা নিয়ে পাল্টা বক্তব্য থাকলে তা-ও হলফনামা আকারেই পেশ করতে হবে হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষকে।
মামলার আবেদনে সুভাষবাবু বলেছেন, হাওড়া পুরসভার খোলা নর্দমাগুলি দীর্ঘ দিন সাফাই হয়নি। ফলে সেগুলির বহন ক্ষমতা কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। উপরন্তু নর্দমাগুলি কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঢাকা থাকায় জমা জল বেরোতে পারছে না। ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাগুলির অবস্থাও তথৈবচ। সুভাষবাবুর আরও অভিযোগ, ওই নালাগুলি দিয়ে কোনও নিকাশি পরিশোধন কেন্দ্রে পৌঁছচ্ছে না। পাম্পগুলিও ঠিক মতো কাজ করছে না।
হাওড়া পুরসভার পক্ষে আইনজীবী নয়ন বিহানি অবশ্য দাবি করেছেন, পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘পাল্টা হলফনামায় পুর কর্তৃপক্ষও তাঁদের বক্তব্য জানাবেন।’’ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ নভেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy