প্রতীকী ছবি
মুখে মাস্ক। চোখে জল। গাড়িতে যেতে যেতে তাঁর হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন বিমান সংস্থার এক কর্মী। অভিযোগ, কাজের সূত্রে আকাশপথে যাতায়াত করেন বলে তাঁকে করোনা-আক্রান্ত বলে দাগিয়ে গোলমাল পাকাচ্ছেন পড়শিরা। এমনকি তরুণীর মাকে মুদির দোকানদারও জিনিস দিতে অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ। টুইটারে এই ভিডিয়োটির হদিস পেয়ে হস্তক্ষেপ করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা। এর পরে বিষয়টি কানে গেলে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা মঙ্গলবার টুইট করে বলেন, ‘যাঁরা আমাদের বাঁচাতে লড়াই করছেন, তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দরকারে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’
কলকাতা বা বঙ্গে করোনার প্রকোপ কত গভীরে গিয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ থাকলেও করোনা-আতঙ্কের বাড়াবাড়িতে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীও বিমানকর্মীদের হেনস্থার নিন্দা করেছেন। কলকাতায় সামান্য কাশিও এখন প্রায় অপরাধের পর্যায়ে পড়ছে। সিঁথির বাসিন্দা, ২৬ বছরের এক তরুণ দিন দশেক আগে সিকিম বেড়িয়ে ফিরেছেন। কাশি, জ্বর, গলা ব্যথায় তিনি বেশ কাহিল। তাতেই সন্দেহের বশে পড়শিরা তাঁকে চাপ দিয়ে কোয়রান্টিনে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এ দিকে, রাজারহাটে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে বিদেশফেরত ছাড়া কাউকে রাখা হবে না। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালও ওই তরুণকে বিনা পরীক্ষায় রাখতে চায়নি। এম আর বাঙুর থেকে রাজারহাট ছোটাছুটির পরে শেষে সোমবার রাজারহাটে ছিলেন ওই তরুণ। মঙ্গলবার অবশ্য চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করেন, ঘা থেকেই ওই তরুণের গলায় ব্যথা হয়েছে। এর পরে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
ছ’মাস পুদুচেরিতে কাটিয়ে ট্রেনে সম্প্রতি কলকাতা ফিরেছিলেন আর্মেনীয় এক দম্পতি। কলকাতা থেকে আর্মেনিয়ার জরুরি উড়ান মিলতে পারে ধরে নিয়েই পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। অ্যাপের মাধ্যমে হোটেল বুক করলেও মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। দমদম থানার পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। আবার হায়দরাবাদে গবেষণারত বীরভূমের এক তরুণী এ দিন কালিন্দীতে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতে গিয়েছিলেন। জানতে পেরে আতঙ্ক ছড়ায় প্রতিবেশীদের মধ্যে। তিনি অবশ্য সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ ফিরে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy