ফাইল চিত্র
বেশি জমায়েত হয়, সংক্রমণ এড়াতে এমন বিভিন্ন জায়গা বিশেষ ভাবে সাফাইয়ের নির্দেশ দিল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। একই সঙ্গে সাফাইকর্মীদের সুরক্ষারও বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশে। রাজ্যের সব ক’টি পুরসভাকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সংক্রান্ত পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবের চিঠিও ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের সব পুরসভায়।
নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, যে সব জায়গায় প্রচুর মানুষের জমায়েত (বাজার, ধর্মীয় স্থান ইত্যাদি) হয়, সেই সব জায়গা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিষ্কার করতে হবে, ওই নির্দেশিকায় তেমনই উল্লেখ করেছেন পুর সচিব সুব্রত গুপ্ত। একই সঙ্গে, পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করতে হবে পুরসভাগুলিকে। আর ওই পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মূলত ব্লিচিং পাউডার এবং ফিনাইল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দফতরের নির্দেশ মেনে বুধবারেই বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার করেছে কয়েকটি পুরসভা।
তা ছাড়াও করোনার সংক্রমণের আশঙ্কায় সাফাইকর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতেও পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নির্দেশে বলা হয়েছে, সাফাইকর্মীদের জন্য অ্যাপ্রন, গ্লাভস, মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করতে হবে পুরসভাগুলিকেই।
এই কাজে অর্থ কী ভাবে আসবে, সেই প্রশ্নও উঠছে? পুর দফতর সূত্রের খবর, আপাতত পুরসভাগুলি নিজেদের তহবিল থেকে খরচ করবে। পরবর্তীতে দফতর ওই সংক্রান্ত তহবিল তৈরি করলে, সেখান থেকেও খরচ দেওয়া হবে। স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ভাবে করার চেষ্টা করছে পুর দফতর। তবে জোগাড় করা গেলেও লকডাউনের পরিস্থিতিতে তা কী ভাবে পৌঁছনো সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তিত পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy