ব্যাঙ্কের লকারে গয়না-সহ কিছু সামগ্রী রেখেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক দম্পতি। অভিযোগ, ওই দম্পতিকে না জানিয়েই ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে তাঁদের লকার ভেঙে ফেলে। ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওই লকারের কোনও
অস্তিত্ব নেই।
তাঁদের না জানিয়েই কী ভাবে লকার ভেঙে ফেলা হল, একাধিক বার জানতে চেয়েও তার সদুত্তর পাননি ওই দম্পতি। বাধ্য হয়ে তাঁরা ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে ২০১৬ সালে আবেদন করেন। ২০১৮ সালে আদালত বারাসতের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে কঠোর সমালোচনা ও ভর্ৎসনা করে কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, লকার ভাঙার আগের সম্পূর্ণ নথি রায় বেরোনোর ৪৫ দিনের মধ্যে অভিযোগকারীকে জমা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যান। যদিও সেখানেও জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ই বহাল রাখা হয়।
মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শ্রাবণী বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী অশোক বিশ্বাসের বারাসতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে শ্রাবণীদেবী ওই ব্যাঙ্কের লকারে তাঁর গয়না ও কিছু দামি পাথর রাখতে শুরু করেন। নিয়ম মতো লকারে জিনিসপত্র রাখা বাবদ তাঁরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট ভাড়া দিতেন। কিন্তু অশোকবাবুর অসুস্থতার কারণে ২০১০-’১১ সাল পর্যন্ত লকারের ভাড়া বাবদ টাকা দিতে পারেননি শ্রাবণীদেবী।