বার বার ভুয়ো পরিচয়ে ফোন করে তথ্য সংগ্রহ করছে দুষ্কৃতীরা। তার পরেই গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানো হচ্ছে টাকা। পরপর এমন ঘটনায় গ্রাহকদের একাংশ সচেতন হলেও হুঁশ ফেরেনি অনেকেরই। একই কৌশলে প্রতারণার শিকার হলেন সল্টলেকের এক মহিলা। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরে ১১ দিন কেটে গেলেও রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মহিষবাথানের মণিকা দাস নামে ওই মহিলা পরিচারিকার কাজ করেন। ঘটনার দিন, ২৩ অক্টোবর তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। তাঁর মোবাইল ছিল বাড়িতে, মেয়ের কাছে। তখনই এক ব্যক্তি শুভজিৎ ঘোষ নামে নিজেকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে মণিকাদেবীর আধার কার্ড, এটিএমের তথ্য চান। শুভজিৎ জানান, তথ্য না দিলে এটিএম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে। মণিকাদেবীর মেয়ে তথ্য জানালে দেখা যায়, মণিকাদেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার টাকা সরানো হয়েছে। এর পরে ওই মহিলা ঢালিপাড়ায় নিজের ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের কিছুই করণীয় নেই। পরের দিন বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ জানান মণিকাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ বলেছে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। কিন্তু টাকা ফেরত পাব কি না, বলতে পারেনি। আমার ওটুকুই সঞ্চয় ছিল। ওই টাকা ফেরত না পেলে সমস্যা পড়ব।’’ বার বার একই ঘটনা ঘটায় এক পুলিশকর্তা জানান, সর্বস্তরের গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy