পাঁচশো-হাজারের নোট বাতিলের পরেও অর্থ মন্ত্রক পুরসভাগুলিকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় হিড়িক পড়েছিল কর জমা দেওয়ার। ফলে গত নভেম্বরে কর বাবদ যেখানে পুরসভার আয় হয়েছিল ৪৮ কোটি ১৪ লক্ষ, এ বছর চলতি মাসের ১৫ দিনেই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সম্পত্তিকর, লাইসেন্স ফি ও বিল্ডিং কর বাবদ জমা পড়েছে ৭৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
কর মূল্যায়ন দফতর সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার ছিল বাতিল নোটে কর জমার শেষ দিন। এ দিনই আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা, যা গত ১৫ দিনে সর্বোচ্চ। তবে বাতিল নোটে কর আদায়ের তারিখ বাড়ানো হচ্ছে কি না, রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। পুরসভা সূত্রে খবর, বকেয়া করদাতাদের সুদ মকুবের ব্যবস্থাও করে পুর-প্রশাসন। অনেকে, এমনকী প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও অভিযোগ তোলেন, এ সবই কালো পথে টাকা সাদা করার চেষ্টা। মেয়র অবশ্য জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনেই কর আদায় হয়েছে। পুরকর্তাদের দাবি, বাতিল
নোটে কর আদায়ের দিন বাড়লে ওই পরিমাণও বাড়বে। সুদ মকুবের কারণে করদাতাদের আগ্রহও বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy