বর্ষা বিদায় নিয়েছে আগেই। কেটে গিয়েছে পুজোও। এ বার দীপাবলিতেও ডেঙ্গি হানায় ত্রস্ত রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল।
রাজারহাট-নিউটাউন ছাড়িয়ে ডেঙ্গি থাবা ছড়িয়েছে লাগায়ো ভাঙড়েও। শুক্রবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যবসায়ীর। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জের পানাপুকুর এলাকার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি গত শনিবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আলিপুরের একটি নাসিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বন্দনা বিশ্বাস নামে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে পূর্ব কাঁঠালবেড়িয়া পানাপুকুর এলাকায় বহু বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি সইফুল মোল্লা (২৬) নামে এক ব্যক্তিও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর। ওই এলাকার বেশ কয়েক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে ডেঙ্গিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনার পরেও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য টনক নড়েনি। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্রেফ ব্লিচিং ছড়িয়েই দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। মশা নিধনের কোনও উদ্যোগই
দেখা যায়নি। যদিও বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ব্লিচিং ছড়ানোর সঙ্গে মশা নিধনের কোনও যোগই নেই। তাঁদের বক্তব্য, ডেঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে মশা নিধনের লাগাতার চেষ্টা না চালালে এবং এলাকা জুড়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার শুরু না করলে কখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমিত দাস অবশ্য বেসরকারি নার্সিংহোমের ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ডেঙ্গি বলা হয়ে থাকলেও পরবর্তী পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ ভাঙড় ২ বিডিও ধ্রুবচন্দ্র বিশ্বাস অবশ্য একের পর বাসিন্দার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানকার পরিস্থিতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারও শুরু হয়েছে।’’ বারুইপুরের এসডিপিও শ্যামা পারভিনও দাবি করেন, ‘‘সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচার শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy