মশাবাহিত রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন যে প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন, ডেঙ্গিতে মৃত্যু থামছে না। বিধাননগরের এক অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরে এ বার নিউ টাউনে মারা গেলেন এক যুবক।
শনিবার অনেক রাতে ভিআইপি রোড সংলগ্ন একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নিউ টাউনের পাথরঘাটার ছাপনা মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা সামাদ মোল্লার।
কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার রাত থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। সামাদকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৮ অক্টোবর ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সামাদকে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। শনিবার রাতে তার জেরেই হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় সামাদের।
গত সপ্তাহেই বিধাননগরের একটি হাসপাতালে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের জেরে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রী ঈশিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সল্টলেক থেকে রাজারহাট-সহ গোটা বিধাননগর পুর-নিগম এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছেন পুরকর্মীরা।
পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, শহর ও শহরতলিতে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পথে নেমেছে প্রশাসন। কিন্তু পাথরঘাটার মতো পঞ্চায়েত এলাকায় সেই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অসংখ্য মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেরই ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্থানীয় পুরপ্রশাসন, পঞ্চায়েতের লোকজন নিয়ে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছেন। তবে যে সব এলাকা থেকে ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খবর আসছে, সেখানে আরও বেশি করে ধোঁয়া দেওয়া, মশার তেল স্প্রে, ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy