—ফাইল চিত্র।
বিপজ্জনক না হলেও হাওয়ায় অল্প বেঁকে গিয়েছিল। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ফুটব্রিজটি মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সে কাজই শেষ হয়েছে। এ বার শুধু ‘ফিট সার্টিফিকেট’ পাওয়ার অপেক্ষা।
এই শংসাপত্র মেলার আগে ফুটব্রিজ সাধারণের চলাচলের উপযোগী হিসেবে গণ্য হবে না। এমনই অবস্থা দক্ষিণ কলকাতা ঢাকুরিয়া মোড় সংলগ্ন এই ফুটব্রিজের। পথচারীদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন এই ফুটব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করা অসংখ্য মানুষের চাপে যাতে বড় দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই দ্রুত মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে শহরের সেতুর পাশাপাশি ফুটব্রিজগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নজর দিয়েছিল প্রশাসন। তখনই ধরা পড়েছিল ঢাকুরিয়া ফুটব্রিজের ‘অসুখ’। কলকাতা পুরসভা অসুখ সারানোর দায়িত্ব দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্রিজটিকে শক্তিশালী করতে নকশায় কিছু পরিবর্তন আনে। সেই মতো কাজ করে গত সপ্তাহে পুর কর্তৃপক্ষ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ ভাবে ফুটব্রিজের ভার পরীক্ষা করেছেন। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আপাতত প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। ফলে শীঘ্রই ওই ফুটব্রিজ দিয়ে যাতায়াত শুরু হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর ২০০১-’০২ সাল নাগাদ ফুটব্রিজটি তৈরি করে কলকাতা পুরসভা দরপত্রের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থাকে নির্বাচন করে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়। বিনিময়ে তারা ফুটব্রিজটিতে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং ঝোলাত। রোগ ধরা পড়ার পর থেকে বন্ধ ছিল বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। কিছু দিনের মধ্যেই ফের তা ঝোলানো যাবে।
স্থাপত্য ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোম বলেন, “দক্ষিণাপণের এই ফুটব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বেঁকে গিয়েছিল। চলার সময়ে এটি কাঁপত, সে কারণে নকশা বদলে ফুটব্রিজটিকে শক্তিশালী করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy