ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন বিমানবন্দরে আচমকা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার কলকাতায় শুরু হয়েছে আলোচনা। দু’দিনের এই আলোচনায় দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের কর্তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিদেশের কয়েকটি বিমানবন্দরের প্রতিনিধিরাও।
কেন এই আলোচনা?
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালন কমিটির সদস্য অনুজ অগ্রবালের কথায়, ‘‘জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে বিদেশিরা কী ভাবে তার মোকাবিলা করেন তা জানব আমরা। আমরা কী করি তাও জানাব। তাই একে ‘টেবিল টপ এক্সারসাইজ অন এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি’ বলা হচ্ছে।’’
কী ধরনের জরুরি অবস্থার কথা বলা হচ্ছে?
আলোচনায় অংশ নেওয়া এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনা, জঙ্গি হানা, বিমান জ্বালানি থেকে আগুন, বিমান ছিনতাইয়ের মতো নানা জরুরি অবস্থাই রয়েছে আলোচনার তালিকায়। কলকাতা বিমানবন্দরে এই ধরনের পরিস্থিতির কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, বুধবার মূলত তাই বিস্তারিত ভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। সমস্ত প্রতিনিধিদের চারটি দলে ভাগ করে দিয়ে এক একটি দলকে এক একটি জরুরি পরিস্থিতির কথা বলে দেওয়া হয়েছে। দলে থাকছেন দেশি ও বিদেশি প্রতিনিধিরা। কী ভাবে সেই জরুরি পরিস্থিতি সামলাবেন, তা জানাচ্ছেন তাঁরা। এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই ধরনের মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে কি না, মূলত সেটাই দেখা হচ্ছে।
কানাডা়র কুব্যেক থেকে এই আলোচনাসভায় অংশ নিতে এসেছেন পিয়ের কোউটু। পিয়ের জানিয়েছেন, কম্পিউটার নির্ভরতার ফলে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনাও বেড়েছে। এখন নিরাপত্তার খাতিরে সেটাও উদ্বেগের বিষয়। আগে হাতে লিখে সব কাজ করা হতো। আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কী করে তা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করতে চান প্রতিনিধিরা।
বিমানবন্দরের কর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে এখন ‘ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রফেশনাল’ বা ‘আইএপি’ তৈরি করা হচ্ছে। বুধবারের আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন এই আইএপি-রাই। কলকাতা ছাড়াও দেশের মধ্যে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, অমৃতসর, আমদাবাদ, পটনা, বাগডোগরা, ভোপালের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। প্রতিনিধি বলতে রয়েছেন প্রধানত বিমানবন্দরের অধিকর্তারাই। এসেছেন সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়া, মলদ্বীপের প্রতিনিধিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy