প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একের পর এক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে বরখাস্ত, সাসপেন্ড এবং শো-কজ় করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)।
সোমবার জুটা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের পোর্টিকোয় ওই সভায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন শিক্ষক। বক্তব্য পেশ করেন একদা বিশ্বভারতীর শিক্ষক এবং বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষক সমন্ত্যক দাস, জুটার সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়। তাঁরা সকলেই বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, এক ভীতির পরিবেশ এখন তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতীতে। কেউ উপাচার্য-বিরোধী মত প্রকাশ করলেই যে ভাবে তাঁকে বিশ্বভারতী বিরোধী, শিক্ষাবিরোধী তকমা দেওয়া হচ্ছে, নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা— তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে একশোরও বেশি জনকে। এ ক্ষেত্রে পড়ুয়াদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বরখাস্ত এবং সাসপেন্ড নিয়ম মেনে করা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।’’ পার্থপ্রতিমবাবুর মত, এ ভাবে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত পরিবেশ আজ রুদ্ধ। তাই জুটা উপাচার্যের এই ধরনের কার্যকলাপের নিন্দা করছে। পাশাপাশি, শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি প্রত্যাহারেরও দাবি জানাচ্ছে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য যে ভাবে গুরুদেবের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় একের পর এক অধ্যাপকের উপরে প্রশাসনিক আক্রমণ নামিয়ে আনছেন, তা এ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যত নজিরবিহীন। উপাচার্যের এই মানসিকতা থেকে বাদ যাচ্ছেন না প্রবীণ আশ্রমিকেরাও। আমরা এই স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা করছি এবং সাসপেন্ড হওয়া অধ্যাপকদের অবিলম্বে তাঁদের পদে ফেরানোর দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy