Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বিমানে-রেলে পুজোয় স্পেশাল মেনু, বাজবে ঢাকও

টেক-অফ করার আগে আচমকা বেজে উঠবে ঢাক। বিমানের জানালা দিয়ে দূরে কোথাও দেখা মিলতে পারে দু’একটি কাশ ফুলেরও। মাটি থেকে ৩০ হাজার ফুট উপরে পাতে পড়তে পারে কষা মুরগি, পটলের দোলমা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৮:১৯
Share: Save:

টেক-অফ করার আগে আচমকা বেজে উঠবে ঢাক। বিমানের জানালা দিয়ে দূরে কোথাও দেখা মিলতে পারে দু’একটি কাশ ফুলেরও। মাটি থেকে ৩০ হাজার ফুট উপরে পাতে পড়তে পারে কষা মুরগি, পটলের দোলমা।

সামান্য মন খারাপ নিয়ে শহর ছেড়ে সপ্তমীর দিন কাউকে যদি ভিন রাজ্যে উড়ে যেতেই হয়, তা হলেও সেই ঢাকের আওয়াজ, আর কলাপাতায় মোড়া থালায় বিশেষ মেনু খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে মন খারাপ। আর পুজোর মাঝে শহরের মাটি ছোঁবেন যাঁরা, তাঁরা মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকের আওয়াজে পুলকিত হয়ে উঠবেন বলেই মনে করছেন বিমানসংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা।

সপ্তমী থেকে দশমী, এই তিন দিন কলকাতা থেকে বাছাই করা উড়ানে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে খাওয়ানো হবে ভুরি-ভোজ। সংস্থার কর্তাদের কথায়, ‘‘পুজোর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা মেনু।’’ পিছিয়ে নেই স্পাইসজেটও। কয়েক দিন আগেই যাঁদের উড়ান চলবে কি চলবে না তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল, তারা শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের কথা মাথায় রেখে তাঁরা নতুনত্বের দিকেও ঝুঁকছে। পুজোর দিনগুলিতে কলকাতা থেকে তাদের যত উড়ান ছাড়বে, টেক-অফ করার আগে তার ভিতরে বসে শোনা যাবে ঢাকের বাদ্যি। তাদের খাবারের তালিকাতেও থাকছে বিশেষ মেনু। তবে সস্তার বিমানসংস্থা বলে স্পাইসে টাকা দিয়ে খাবার কিনে খেতে হয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণত স্যান্ডউইচ, সিঙ্গারার মতো শুকনো খাবারই রাখা হয়, কিন্তু পুজোর কথা ভেবে বদলে ফেলা হয়েছে মেনু।

এয়ার ইন্ডিয়া অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই পুজোর দিনগুলিতে আকাশে যাত্রীদের রসনা তৃপ্ত করে চলেছে। এ বার এগিয়ে এসেছে ভারতীয় রেলও। তাদের ক্যাটারিং বিভাগ (আইআরসিটিসি) এই প্রথম পুজোর জন্য বিশেষ মেনু নিয়ে এসেছে। তবে, যত ট্রেন ছাড়ে সবগুলিতে নতুন খাবার দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে রেল। এটা প্রথম বার, তাই রেলের অন্যতম পুরনো এবং ঐতিহ্যশালী ট্রেন হিসেবে হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেসকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর তিন দিন, সপ্তমী থেকে দশমী কলকাতা ও দিল্লি থেকে ট্রেনে ওঠা সমস্ত যাত্রীকে প্রথমেই ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। আর দশটা সাধারণ দিনে রাজধানীর যে খাবারের তালিকা তা ওই তিন দিনের জন্য তোলা থাকবে কুলুঙ্গিতে। তার জায়গায় আসছে নতুন জিভে-জল-আনা খাবার। এমনকী খাবার শেষে যে আইসক্রিম দেওয়া হয়, তার সঙ্গে থাকবে বাংলার প্রসিদ্ধ কোনও একটি মিষ্টি।

ওই তিন দিনে কলকাতা থেকে স্পাইসের যত বিমান ছাড়বে সর্বত্র ঢাকের আওয়াজের সঙ্গে পাওয়া যাবে বিশেষ মেনু। তবে, এয়ার ইন্ডিয়া সেই সুবিধা দেবে বাছাই করা উড়ানে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি-মুম্বইয়ের মতো মেট্রো শহর ছাড়াও কাঠমান্ডু ও পোর্টব্লেয়ারের উড়ানে থাকছে বিশেষ এই মেনু। প্রাতরাশে থাকবে মাংসের ঘুগনি, কাটলেট, আলু-কাবলি, কড়াইশুটির কচুরি, মালপোয়া, মিহিদানা। আর লাঞ্চ বা ডিনারে থাকবে মুরগির রোস্ট, আদা-লেবু ভাপা মাছ, মোচার ঘন্ট, পটলের দোলমা, কষা মুরগি, মাটন ডাকবাংলো, রাধাবল্লভি, হিংয়ের কচুরি, মিষ্টি দই, ছানার পায়েসের মতো খাবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE